খালেদা জিয়ার জীবনই গণতন্ত্রের শক্ত ভিত্তি : এ্যানি
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রয়োজনীয় গুণগত পরিবর্তন এখনো আসেনি উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রশ্ন তুলেছেন—নেতৃত্বের সংকটে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে, কাকে অনুসরণ করবে? বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের উঠান বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে সরকারের নির্যাতন-অত্যাচারের ফলেই আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা এতটা নাজুক হয়েছে। মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর পর সেখানেই তাকে নানা নিপীড়নের মুখে পড়তে হয়েছে। এমনকি নিয়মিত খাবারের মধ্যেও নাশকতা করা হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। সুস্থ অবস্থায় কারাগারে গেলেও অসুস্থ হয়ে ফিরতে বাধ্য হন বেগম জিয়া—এটার দায় বর্তমান সরকারের, মন্তব্য এ্যানির।
এ্যানি আরও বলেন, খালেদা জিয়া এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তিনি কবে সুস্থ হয়ে ফিরবেন তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। তবে তার আপসহীন রাজনীতি ও কর্মই তাকে মানুষের হৃদয়ে স্থান দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যদি খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে না দেওয়া হয়, তবে অদূর ভবিষ্যতে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন, নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং নেতৃত্ব দেবেন—এমন প্রত্যাশা তাদের রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এবারের নির্বাচন ভিন্ন পরিস্থিতির। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তার ভাষায়—খালেদা জিয়া বেঁচে থাকা মানে দেশের গণতন্ত্র টিকে থাকা। বিএনপির কর্মীদের অনুপ্রেরণা, মনোবল ও সাহসের উৎসই খালেদা জিয়া। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সেই শক্তি নিয়েই মাঠে কাজ করতে হবে। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে মা-বোনদের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে।
মহিলাদল এবং তরুণীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের নারীরা এখন বিভিন্ন খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ঘরে বসেও অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে নারীদের অধিকার আরও শক্তভাবে নিশ্চিত করা হবে। তাই ঐক্যবদ্ধ থেকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়াসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।





















