ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo রাঙ্গামাটির ক্রীড়া অবকাঠামো নিয়ে হতাশ বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর Logo সোজা আঙুলে না উঠলে বাঁকা করব, ঘি আমাদের লাগবেই: জামায়াত নেতা তাহের Logo তিন বছরে রাহা: ভাইয়ের মেয়েকে জন্মদিনে আবেগঘন বার্তা রণবীরের বোনের Logo ট্রাম্পের দাবি: ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৮ যুদ্ধবিমান ধ্বংস, তার মধ্যস্থাতেই শান্তি স্থাপন Logo প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কাঠামোতে বড় পরিবর্তন Logo জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি তুললেন বিএনপি নেতা আলাল Logo ইমরান হাশমির কারণে স্কুলে যেতে লজ্জা পাচ্ছেন তার ছেলে আয়ান! Logo স্বর্ণপ্রেমীদের জন্য সুখবর! কমেছে ভরিপ্রতি দাম Logo প্রেম, পরকীয়া আর বিতর্কে টালমাটাল ব্রিটিশ রাজপরিবার Logo সুদানে আরএসএফ বাহিনীর তাণ্ডব, মানবিক বিপর্যয় তীব্র

গত এক বছরে বন্ধ হয়ে গেছে ১৮৫টি গার্মেন্ট কারখানা

নিজস্ব সংবাদ :

 

গত এক বছরে দেশের তৈরি পোশাক খাতে সংকট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ১৮৫টি গার্মেন্টস কারখানা, যার ফলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যার প্রভাব পড়েছে রফতানিতেও। গত দুই মাসে রফতানি কমেছে প্রায় ৫-৬ শতাংশ।

রবিবার (১২ অক্টোবর) নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, কারখানা বন্ধ হওয়া এবং উৎপাদন কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আগ্রহ কমছে বাংলাদেশের প্রতি।

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোশাক ও টেক্সটাইল বিষয়ক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হলেও, বাংলাদেশ থেকে এসব আয়োজনে যথাযথ অংশগ্রহণ নেই। উদ্যোক্তারা কিছুটা অংশগ্রহণ করলেও, সরাসরি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত অনেক পক্ষ এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে বঞ্চিত থাকছেন।

এ অবস্থায়, শিল্পের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বায়িং হাউস ও উৎপাদকদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর জোর দেন সংগঠনের নেতারা। তারা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি খাত নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শুল্ক ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকায়, ক্রেতারা এখনও বড় অর্ডারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

ক্রেতাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে উৎপাদনে নিরবচ্ছিন্নতা এবং স্থিতিশীলতা ফেরানো ছাড়া নতুন ক্রয় আদেশ পাওয়া কঠিন। শিল্প খাতে সরকারের আরও সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার কথাও তারা উল্লেখ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
৩৯ বার পড়া হয়েছে

গত এক বছরে বন্ধ হয়ে গেছে ১৮৫টি গার্মেন্ট কারখানা

আপডেট সময় ১২:৫৪:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

 

গত এক বছরে দেশের তৈরি পোশাক খাতে সংকট ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ১৮৫টি গার্মেন্টস কারখানা, যার ফলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতির কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, যার প্রভাব পড়েছে রফতানিতেও। গত দুই মাসে রফতানি কমেছে প্রায় ৫-৬ শতাংশ।

রবিবার (১২ অক্টোবর) নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, কারখানা বন্ধ হওয়া এবং উৎপাদন কমে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আগ্রহ কমছে বাংলাদেশের প্রতি।

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোশাক ও টেক্সটাইল বিষয়ক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হলেও, বাংলাদেশ থেকে এসব আয়োজনে যথাযথ অংশগ্রহণ নেই। উদ্যোক্তারা কিছুটা অংশগ্রহণ করলেও, সরাসরি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত অনেক পক্ষ এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে বঞ্চিত থাকছেন।

এ অবস্থায়, শিল্পের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বায়িং হাউস ও উৎপাদকদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর জোর দেন সংগঠনের নেতারা। তারা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি খাত নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শুল্ক ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকায়, ক্রেতারা এখনও বড় অর্ডারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

ক্রেতাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে উৎপাদনে নিরবচ্ছিন্নতা এবং স্থিতিশীলতা ফেরানো ছাড়া নতুন ক্রয় আদেশ পাওয়া কঠিন। শিল্প খাতে সরকারের আরও সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার কথাও তারা উল্লেখ করেন।