ঢাকা ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার মসজিদগুলো এখন ধ্বংসস্তূপ, তবু থামেনি আজান

নিজস্ব সংবাদ :

সংগৃহিত

ইসরাইলের হামলায় গাজা উপত্যকার অধিকাংশ মসজিদ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। একসময় যেসব মিনার থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসত, এখন সেগুলোর জায়গায় কেবল ধুলা আর ভাঙা পাথর।
দীর্ঘ দুই বছরের সংঘাতে প্রায় পুরো উপত্যকাই মিনারবিহীন হয়ে পড়েছে। শতাব্দী প্রাচীন স্থাপত্যগুলোও রক্ষা পায়নি; ইতিহাস যেন মুছে গেছে বোমার আঘাতে।

৬২ বছর বয়সি আবু খালেদ আল-নাজ্জার বলেন, “ছোটবেলা থেকে ইবনে ওসমান মসজিদে নামাজ পড়তাম। এখন সেই জায়গাটা শুধু ধ্বংসস্তূপ। কল্পনাও করিনি, একদিন মসজিদ ছাড়াই নামাজ পড়তে হবে।”

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১,২৪৪টি মসজিদের মধ্যে ৮৩৫টি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে, আর ১৮০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। এর মধ্যে রয়েছে মামলুক ও অটোমান যুগের বহু প্রাচীন মসজিদ।

পুরোনো শহরের গ্রেট ওমারি মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ২৭ বছর বয়সি মাহমুদ কান্দিল এখনো ঘুরে বেড়ান, ইতিহাসের টুকরো খুঁজে বেড়াতে।
৭৪ বছর বয়সি উম্মে ওয়ায়েল বলেন, “মসজিদ আর নেই, কিন্তু ঘরে বসেই কুরআন পড়ব। কারণ আল্লাহ সর্বত্র আছেন, আমাদের দোয়া তিনি শুনছেন।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
১ বার পড়া হয়েছে

গাজার মসজিদগুলো এখন ধ্বংসস্তূপ, তবু থামেনি আজান

আপডেট সময় ১১:০৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ইসরাইলের হামলায় গাজা উপত্যকার অধিকাংশ মসজিদ এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। একসময় যেসব মিনার থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসত, এখন সেগুলোর জায়গায় কেবল ধুলা আর ভাঙা পাথর।
দীর্ঘ দুই বছরের সংঘাতে প্রায় পুরো উপত্যকাই মিনারবিহীন হয়ে পড়েছে। শতাব্দী প্রাচীন স্থাপত্যগুলোও রক্ষা পায়নি; ইতিহাস যেন মুছে গেছে বোমার আঘাতে।

৬২ বছর বয়সি আবু খালেদ আল-নাজ্জার বলেন, “ছোটবেলা থেকে ইবনে ওসমান মসজিদে নামাজ পড়তাম। এখন সেই জায়গাটা শুধু ধ্বংসস্তূপ। কল্পনাও করিনি, একদিন মসজিদ ছাড়াই নামাজ পড়তে হবে।”

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১,২৪৪টি মসজিদের মধ্যে ৮৩৫টি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে, আর ১৮০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। এর মধ্যে রয়েছে মামলুক ও অটোমান যুগের বহু প্রাচীন মসজিদ।

পুরোনো শহরের গ্রেট ওমারি মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ২৭ বছর বয়সি মাহমুদ কান্দিল এখনো ঘুরে বেড়ান, ইতিহাসের টুকরো খুঁজে বেড়াতে।
৭৪ বছর বয়সি উম্মে ওয়ায়েল বলেন, “মসজিদ আর নেই, কিন্তু ঘরে বসেই কুরআন পড়ব। কারণ আল্লাহ সর্বত্র আছেন, আমাদের দোয়া তিনি শুনছেন।”