আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমতা নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগেই পানামা খালে আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি গ্রিনল্যান্ড দখলের কথা বলছেন তিনি। ট্রাম্প মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা নেয়া জরুরি। ট্রাম্পের এ ধরনের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছে অঞ্চলগুলোর বাসিন্দারা।
এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানান গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদে। ডেনমার্ক সফরকালে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী কোপেনহেগেনে এক সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এগেদে বলেন, আমি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ডের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র। গ্রিনল্যান্ড, ইউরোপ ও ট্রান্স আটলান্টিককে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গ্রিনল্যান্ডের প্রতি আমেরিকারনদের আগ্রহ বাড়ছে যা ইতিবাচক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা ও স্বায়ত্ত্বশাসনের প্রতি সবাইকে সম্মান দেখানোর আহ্বান জানান এগেদে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমেরিকান হতে চাই না। আমরা ড্যানিশও হতে চাই না। আমরা গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দা হতে চাই। অবশ্যই গ্রিনল্যান্ডের বাসিন্দারা তাদের ভবিষ্যতে নির্ধারণ করবে। এবং সবার এটার প্রতি সবার শ্রদ্ধা থাকা উচিত।’
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মিতে ফ্রেডেরিকসেনের উপস্থিতিতে ওই সংবাদ সম্মেলনে গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এর অর্থ এটা নয়, আমরা সব ধরনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করব। ডেনমার্কের সঙ্গে সব সহযোগিতা, সব সম্পর্ক আগের মতো অটুট থাকবে।’
এ সময় ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতা ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ঘোষণা নিয়ে চলমান বিতর্ক এটা প্রমাণ করে যে দ্বীপরাষ্ট্রটি নিয়ে বড় স্বার্থ রয়েছে। এসব ঘটনা গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের অনেকের মনে অনেক চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।
গত ডিসেম্বর মাসে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। এরপর গত সপ্তাহেও ফের বলেন, প্রয়োজনে সামরিক ও অর্থনেতিক শক্তি ব্যবহার করবেন তিনি। এ মন্তব্য নতুন করে বিতর্ক উসকে দেয়।
তবে গ্রিনল্যান্ডের দিকে ট্রাম্পের এমন মন্তব্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৯ সালে তিনি গ্রিনল্যান্ডকে মার্কিন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। তবে ওই সময় ডেনমার্ক তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
সূত্র: সিএনএন ও রয়টার্স