ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo হাত-পা অতিরিক্ত ঘামে? জেনে নিন এর কারণ ও প্রতিকার Logo পূর্ব কঙ্গোর গির্জায় ভয়াবহ হামলা, নিহত অন্তত ২১ জন Logo চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ও ব্যান্ড ‘ওন্ড’-এর ভোকাল রাতুল আর নেই Logo গ্রিসে ইসরায়েলি পর্যটকের কানে হামলা, অভিযুক্ত সিরীয় নাগরিক Logo ‘জুলাই বিপ্লব শুধু অতীত নয়, এটি চলমান সংগ্রাম’ Logo দ্বিতীয় পদ্মা সেতু এখন সময়ের দাবি: ফখরুল Logo গাজার কিছু অঞ্চলে ১০ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে ইসরায়েল Logo নাহিদ ইসলামের দাবি: স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা ২৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান Logo দুই দিন বন্ধ থাকবে মাইলস্টোন স্কুল, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীরা Logo জারিফের শেষযাত্রা: মাইলস্টোনে গিয়েছিল স্বপ্ন নিয়ে, ফিরল না আর

‘গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়’, ট্রাম্পকে কড়া জবাব

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

‘গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়’, ট্রাম্পকে কড়া জবাব।

গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, এটি আমাদের বলে মন্তব্য করেছেন দ্বীপটির প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেডে।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের ‘মালিকানা’ নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পর এই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপটির প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেডে। খবর রয়টার্সের।

এর আগে রোববার ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পেপ্যালের সহপ্রতিষ্ঠাতা কেন হাওয়ারীকে ডেনমার্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা দিয়ে, গ্রিনল্যান্ডের বিষয়ে তার অবস্থান পুনরায় ঘোষণা করেন।
 
ট্রাম্প বলেন, বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার জন্য গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ নেয়া খুব জরুরি বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। কেন হাওয়ারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে চমৎকার কাজ করবেন।

 
ট্রাম্পের এমন কথায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেডে। তিনি বলেন, আমরা বিক্রয়ের জন্য নই এবং আমরা কখনো বিক্রি হবো না। আমাদের দীর্ঘ স্বাধীনতার সংগ্রাম হারানো যাবে না। তবে আমাদের অবশ্যই বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা এবং বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত থাকতে হবে, বিশেষত আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে।

 

১৯৭৯ সালে ডেনমার্ক থেকে স্বায়ত্তশাসন লাভ করা সত্ত্বেও গ্রিনল্যান্ড বৈদেশিক বিষয়, নিরাপত্তা এবং আর্থিক বিষয়ে কোপেনহেগেনের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি ইউরেনিয়াম, সোনা, তেল এবং গ্যাসের বিশাল মজুদাগার হিসেবে পরিচিত।
 
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ১৯৪৬ সালে গ্রিনল্যান্ড কেনার জন্য ডেনমার্ককে ১০০ মিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের প্রস্তাব দেন।
 
 
এরপর ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বীপটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। যার ফলে ওয়াশিংটন ও কোপেনহেগেনের মধ্যে একটি ‘সুক্ষ কূটনৈতিক ফাটল’ সৃষ্টি হয়। এমনকি সে সময় ডেনমার্কে ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় সফরও বাতিল করতে হয়। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:২৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
৬৪ বার পড়া হয়েছে

‘গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়’, ট্রাম্পকে কড়া জবাব

আপডেট সময় ০৮:২৬:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

‘গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়’, ট্রাম্পকে কড়া জবাব।

গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, এটি আমাদের বলে মন্তব্য করেছেন দ্বীপটির প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেডে।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের ‘মালিকানা’ নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পর এই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপটির প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেডে। খবর রয়টার্সের।

এর আগে রোববার ট্রাম্প তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পেপ্যালের সহপ্রতিষ্ঠাতা কেন হাওয়ারীকে ডেনমার্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা দিয়ে, গ্রিনল্যান্ডের বিষয়ে তার অবস্থান পুনরায় ঘোষণা করেন।
 
ট্রাম্প বলেন, বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার জন্য গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ নেয়া খুব জরুরি বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। কেন হাওয়ারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে চমৎকার কাজ করবেন।

 
ট্রাম্পের এমন কথায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেডে। তিনি বলেন, আমরা বিক্রয়ের জন্য নই এবং আমরা কখনো বিক্রি হবো না। আমাদের দীর্ঘ স্বাধীনতার সংগ্রাম হারানো যাবে না। তবে আমাদের অবশ্যই বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা এবং বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত থাকতে হবে, বিশেষত আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে।

 

১৯৭৯ সালে ডেনমার্ক থেকে স্বায়ত্তশাসন লাভ করা সত্ত্বেও গ্রিনল্যান্ড বৈদেশিক বিষয়, নিরাপত্তা এবং আর্থিক বিষয়ে কোপেনহেগেনের ওপর নির্ভরশীল। অঞ্চলটি ইউরেনিয়াম, সোনা, তেল এবং গ্যাসের বিশাল মজুদাগার হিসেবে পরিচিত।
 
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ১৯৪৬ সালে গ্রিনল্যান্ড কেনার জন্য ডেনমার্ককে ১০০ মিলিয়ন ডলারের স্বর্ণের প্রস্তাব দেন।
 
 
এরপর ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বীপটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। যার ফলে ওয়াশিংটন ও কোপেনহেগেনের মধ্যে একটি ‘সুক্ষ কূটনৈতিক ফাটল’ সৃষ্টি হয়। এমনকি সে সময় ডেনমার্কে ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় সফরও বাতিল করতে হয়।