ঢাকা ১১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব সংবাদ :

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আরও একজনের বিরুদ্ধে আজ নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এর আগের দিন, অষ্টম দিনে, চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী, চিকিৎসক জাকিয়া সুলতানা নীলা ও আরও তিনজন সাক্ষ্য প্রদান করেন। তারা জানান, আন্দোলনের সময় আহত হয়ে ৪৯৩ জন এক চোখ হারিয়েছেন, আর ১১ জনের উভয় চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে তারা সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন হয়ে পড়েছেন।

সেদিনই শহীদ মারুফের বাবা আদালতে সাক্ষ্য দেন। তিনি বলেন, ১৯ জুলাই তার ছেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ এম্বুলেন্সটি থামিয়ে দেয়। প্রায় ১৫-২০ মিনিট আটকে রাখার সময় এক পুলিশ সদস্য মারুফের গুলিবিদ্ধ স্থানে আঘাত করেন। পরে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তার মৃত্যু হয়।

এর আগে সপ্তম দিনে, ২৪ আগস্ট, রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাজিবুল ইসলামসহ আরও দুজন সাক্ষ্য দেন।

ষষ্ঠ দিনে, ২০ আগস্ট, সাক্ষ্য দেন চারজন। তারা হলেন—ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীন, ইবনে সিনা হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাসানুল বান্না এবং শহীদ শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদের মা সোনিয়া জামাল।

পঞ্চম দিনে (১৮ আগস্ট) শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আওয়াল এবং রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

চতুর্থ দিনে (১৭ আগস্ট) সাক্ষ্য দেন সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার এবং শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম।

৬ আগস্ট আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী রিনা মুর্মু ও সাংবাদিক একেএম মঈনুল হক। ৪ আগস্ট জবানবন্দি দেন আহত শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান এবং চোখ হারানো দিনমজুর পারভীন। আর ৩ আগস্ট মামলার সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষী হিসেবে বক্তব্য দেন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ, যিনি শেখ হাসিনা, কামালসহ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

এ পর্যন্ত মামলায় মোট ২৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৫২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
৫৬ বার পড়া হয়েছে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ

আপডেট সময় ১২:৫২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আরও একজনের বিরুদ্ধে আজ নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এর আগের দিন, অষ্টম দিনে, চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী, চিকিৎসক জাকিয়া সুলতানা নীলা ও আরও তিনজন সাক্ষ্য প্রদান করেন। তারা জানান, আন্দোলনের সময় আহত হয়ে ৪৯৩ জন এক চোখ হারিয়েছেন, আর ১১ জনের উভয় চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, ফলে তারা সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন হয়ে পড়েছেন।

সেদিনই শহীদ মারুফের বাবা আদালতে সাক্ষ্য দেন। তিনি বলেন, ১৯ জুলাই তার ছেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ এম্বুলেন্সটি থামিয়ে দেয়। প্রায় ১৫-২০ মিনিট আটকে রাখার সময় এক পুলিশ সদস্য মারুফের গুলিবিদ্ধ স্থানে আঘাত করেন। পরে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তার মৃত্যু হয়।

এর আগে সপ্তম দিনে, ২৪ আগস্ট, রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রাজিবুল ইসলামসহ আরও দুজন সাক্ষ্য দেন।

ষষ্ঠ দিনে, ২০ আগস্ট, সাক্ষ্য দেন চারজন। তারা হলেন—ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীন, ইবনে সিনা হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাসানুল বান্না এবং শহীদ শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদের মা সোনিয়া জামাল।

পঞ্চম দিনে (১৮ আগস্ট) শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আওয়াল এবং রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

চতুর্থ দিনে (১৭ আগস্ট) সাক্ষ্য দেন সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার এবং শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম।

৬ আগস্ট আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী রিনা মুর্মু ও সাংবাদিক একেএম মঈনুল হক। ৪ আগস্ট জবানবন্দি দেন আহত শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান এবং চোখ হারানো দিনমজুর পারভীন। আর ৩ আগস্ট মামলার সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষী হিসেবে বক্তব্য দেন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ, যিনি শেখ হাসিনা, কামালসহ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

এ পর্যন্ত মামলায় মোট ২৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।