জুলাই ঘোষণাপত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপেক্ষিত, হতাশা জানাল জামায়াত
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের পর তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন।
তিনি জানান, ঘোষণাপত্রে ‘জুলাই বিপ্লব’-এর মূল চেতনা ও জনগণের প্রত্যাশার যথাযথ প্রতিফলন ঘটেনি। তাহের বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম ঘোষণাপত্রটি সংবিধানে প্রিয়াম্বেল আকারে যুক্ত হবে। বাস্তবায়নের তারিখ নিয়েও আমরা পরিষ্কার ধারণা পাইনি—যেখানে বলা হয়েছিল ৫ আগস্ট থেকেই বাস্তবায়ন শুরু হবে।”
তাছাড়া, আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের স্বীকৃতি ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা ঘোষণাপত্রে নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তার মতে, “মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে, ঠিক তেমনই ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ও আজীবন ভাতা ও সম্মাননার বিষয়টি আমরা প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু সেই দাবি ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়নি। এটি অনেকটাই শুধু একটি রাজনৈতিক রচনা হয়ে গেছে।”
এর আগে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’কে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারের অধীনে প্রণীত সংস্কারকৃত সংবিধানে এ ঘোষণাপত্র যুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে আন্দোলনে নিহতদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা, আহত ও অংশগ্রহণকারীদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার অঙ্গীকারও করা হয়।
তবে জামায়াতের মতে, এসব অঙ্গীকারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের স্পষ্টতা অনুপস্থিত, যা জনগণের মধ্যে হতাশার জন্ম দিয়েছে।