ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ত্রাণ নিতে গাজায় আইডিএফের গুলিতে ৩৬ ফিলিস্তিনির মৃত্যু Logo ঢাবিতে শিবিরের প্রদর্শনীতে মানবতাবিরোধী অপরাধী ব্যক্তিদের ছবি সরানো হয় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের পর Logo মানিক মিয়া এভিনিউতে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ ১০, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি Logo জুলাই ঘোষণাপত্রে প্রস্তাবিত অনেক বিষয় উপেক্ষিত: মন্তব্য নুরুল হক নুরের Logo জুলাই ঘোষণাপত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপেক্ষিত, হতাশা জানাল জামায়াত Logo কক্সবাজারে এনসিপি নেতাদের সফরে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের গুজব ভিত্তিহীন: জারা ও পাটওয়ারী Logo প্রধান উপদেষ্টার কণ্ঠে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’, জানুন কী আছে ২৮ দফায় Logo বাম দল ছাড়া কি সম্ভব হতো জুলাই বিপ্লব? জানুন তাদের আসল অবদান! Logo “শাহরুখ, রানি ও করণের জয় নিয়ে গৌরীর আবেগঘন বার্তা!” Logo ‘সাইয়ারা’: নতুন মুখ আর সাধারণ গল্পে বলিউডে সফলতার ছোঁয়া!

জুলাই ঘোষণাপত্রে প্রস্তাবিত অনেক বিষয় উপেক্ষিত: মন্তব্য নুরুল হক নুরের

নিজস্ব সংবাদ : চিন্ময় দে আনন্দ

 

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জানিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ যেসব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল, তার বেশিরভাগই চূড়ান্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) রাজধানীর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঘোষণাপত্র পাঠের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল জুলাই সনদ স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, এটি আগামী নির্বাচিত সংসদ বাস্তবায়ন করবে—যা রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে একটি অনিশ্চয়তার দ্বার খুলে দেয়।”

নুর আরও বলেন, ঘোষণাপত্রে জুলাই আন্দোলনের আইনি ভিত্তি নিয়েও পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি। ইতিহাস উপস্থাপনায়ও ভারসাম্যের অভাব রয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

তার ভাষায়, “ঘোষণাপত্রে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঐতিহাসিক বর্ণনা এসেছে। অথচ এই অভ্যুত্থানের পেছনে গত দেড় যুগের দমন-পীড়ন, গুম-খুন, বিশেষ করে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তরুণদের এই জাগরণ থেকেই ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়।”

যদিও কিছু অসন্তুষ্টির কথা তুলে ধরেন, তবুও নুর ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’কে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন এবং এটিকে স্বাগত জানান।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ২৮ দফা সম্বলিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন। এই ঘোষণায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের ধারাবাহিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

ঘোষণাপত্র পাঠের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বিভিন্ন দলের নেতারা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:২৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
১২ বার পড়া হয়েছে

জুলাই ঘোষণাপত্রে প্রস্তাবিত অনেক বিষয় উপেক্ষিত: মন্তব্য নুরুল হক নুরের

আপডেট সময় ০৭:২৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

 

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জানিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ যেসব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছিল, তার বেশিরভাগই চূড়ান্ত ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) রাজধানীর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঘোষণাপত্র পাঠের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা ছিল জুলাই সনদ স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, এটি আগামী নির্বাচিত সংসদ বাস্তবায়ন করবে—যা রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে একটি অনিশ্চয়তার দ্বার খুলে দেয়।”

নুর আরও বলেন, ঘোষণাপত্রে জুলাই আন্দোলনের আইনি ভিত্তি নিয়েও পরিষ্কার কিছু বলা হয়নি। ইতিহাস উপস্থাপনায়ও ভারসাম্যের অভাব রয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

তার ভাষায়, “ঘোষণাপত্রে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঐতিহাসিক বর্ণনা এসেছে। অথচ এই অভ্যুত্থানের পেছনে গত দেড় যুগের দমন-পীড়ন, গুম-খুন, বিশেষ করে ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তরুণদের এই জাগরণ থেকেই ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়।”

যদিও কিছু অসন্তুষ্টির কথা তুলে ধরেন, তবুও নুর ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’কে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন এবং এটিকে স্বাগত জানান।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ২৮ দফা সম্বলিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন। এই ঘোষণায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের ধারাবাহিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

ঘোষণাপত্র পাঠের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বিভিন্ন দলের নেতারা।