ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার Logo পিকে হালদারের রেড নোটিশ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেবে দুদক Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে চালের দাম দায়ী: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Logo এখনও ভারতের সাড়া মেলেনি: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাঠানো চিঠির বিষয়ে ঢাকার অপেক্ষা Logo অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন পুলিশের সাত কর্মকর্তা

ডিমের দাম কমলেও চোখ রাঙাচ্ছে মুরগি

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

অবশেষে উত্তাল ডিমের বাজারে টান পড়েছে দামের লাগামে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজন প্রতি ডিমের দাম কমেছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। তবে দাম কমলেও চাহিদার তুলনায় ডিমের সরবরাহ অনেকটাই কম। এদিকে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি।

 

কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে দাম কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া রেটে। বর্তমানে প্রতিডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়। সরকার ডিমের দাম বেঁধে দেয়ার পরেও গত কয়েক সপ্তাহে ডিমের দাম বেড়ে হয়েছিল ১৮০ টাকার বেশি।

 

রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ডিমের দাম কমলেও উন্নতি হয়নি সরবরাহ সংকটের।
 
বিক্রেতারা বলছেন, তেজগাঁও আড়তে গিয়ে চাহিদামাফিক ডিম পাচ্ছেন না তারা। প্রতিদিন ১০ হাজার ডিমের আশা করলেও মিলছে মাত্র ৫ হাজার।
 
খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজার থেকে ডিম প্রতি ৫০ পয়সা লাভ করার কথা থাকলেও দাম কমিয়ে বিক্রি করায় হারাতে হচ্ছে বড় অঙ্কের মুনাফা। পাশাপাশি কমেছে বিক্রিও।
 
 
এদিকে, বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমলেও মুরগির দামে আসেনি স্বস্তি। প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায় এবং সোনালি দাম বেড়ে হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আর সাদা লেয়ার ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এছাড়া, জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।
 
বন্যার কারণে খামারিদের ক্ষতির অযুহাত দাঁড় করিয়ে ব্যবসায়ীদের দাবি, মুনাফা না হওয়ার স্বদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সরকারের বেঁধে দেয়া দামে মুরগি বিক্রি করতে পারছেন না তারা।
 
তবে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া নয়, বাজার স্থিতিশীল রাখার দাবি ক্রেতাদের। তারা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে শুধু দাম বেঁধে দিলেই হবে না, করতে হবে কঠোর তদারকি।
 
আপাতত ডিমের দাম কমলেও এ ধারা বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন ভোক্তারা। শুল্ক ছাড় ও বাজার অভিযানের দীর্ঘমেয়াদি সুফল চান তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:২২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
৯৭ বার পড়া হয়েছে

ডিমের দাম কমলেও চোখ রাঙাচ্ছে মুরগি

আপডেট সময় ০৮:২২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

অবশেষে উত্তাল ডিমের বাজারে টান পড়েছে দামের লাগামে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজন প্রতি ডিমের দাম কমেছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। তবে দাম কমলেও চাহিদার তুলনায় ডিমের সরবরাহ অনেকটাই কম। এদিকে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি।

 

কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে দাম কমে ডিম বিক্রি হচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া রেটে। বর্তমানে প্রতিডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়। সরকার ডিমের দাম বেঁধে দেয়ার পরেও গত কয়েক সপ্তাহে ডিমের দাম বেড়ে হয়েছিল ১৮০ টাকার বেশি।

 

রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ডিমের দাম কমলেও উন্নতি হয়নি সরবরাহ সংকটের।
 
বিক্রেতারা বলছেন, তেজগাঁও আড়তে গিয়ে চাহিদামাফিক ডিম পাচ্ছেন না তারা। প্রতিদিন ১০ হাজার ডিমের আশা করলেও মিলছে মাত্র ৫ হাজার।
 
খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজার থেকে ডিম প্রতি ৫০ পয়সা লাভ করার কথা থাকলেও দাম কমিয়ে বিক্রি করায় হারাতে হচ্ছে বড় অঙ্কের মুনাফা। পাশাপাশি কমেছে বিক্রিও।
 
 
এদিকে, বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমলেও মুরগির দামে আসেনি স্বস্তি। প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায় এবং সোনালি দাম বেড়ে হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আর সাদা লেয়ার ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এছাড়া, জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।
 
বন্যার কারণে খামারিদের ক্ষতির অযুহাত দাঁড় করিয়ে ব্যবসায়ীদের দাবি, মুনাফা না হওয়ার স্বদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সরকারের বেঁধে দেয়া দামে মুরগি বিক্রি করতে পারছেন না তারা।
 
তবে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া নয়, বাজার স্থিতিশীল রাখার দাবি ক্রেতাদের। তারা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে শুধু দাম বেঁধে দিলেই হবে না, করতে হবে কঠোর তদারকি।
 
আপাতত ডিমের দাম কমলেও এ ধারা বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন ভোক্তারা। শুল্ক ছাড় ও বাজার অভিযানের দীর্ঘমেয়াদি সুফল চান তারা।