ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তালেবানকে বুকে টেনে নারী সাংবাদিকদের বাদ দিল ভারত!

নিজস্ব সংবাদ :

সংগৃহিত

আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সাম্প্রতিক ভারত সফর ঘিরে বড় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
দীর্ঘদিন তালেবানকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়া দিল্লির সরকার এবার পাকিস্তানবিরোধী কূটনৈতিক স্বার্থে সেই তালেবান সরকারের সঙ্গেই কূটনৈতিক উষ্ণতা দেখাচ্ছে।

কিন্তু এই সফরে ঘটে যায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা—মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা!
পোশাকবিধি মেনেও অনেক নারী সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারা বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই সংবাদ সম্মেলনে ভারত সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না; আমন্ত্রণ তালিকা তৈরি করেছে মুম্বাইস্থ আফগান কনস্যুলেট।
তবে বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলগুলো ক্ষোভে ফেটে পড়ে।

রাহুল গান্ধী এক্স পোস্টে লিখেছেন, “যখন নারী সাংবাদিকদের বাদ দেওয়া হয়, তখন পুরো দেশের নারীদের অসম্মান করা হয়।”
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, “যে দেশের নারীরা গর্বের প্রতীক, তাদের এমন অপমানের দায় কে নেবে?”

অন্যদিকে সাবেক মন্ত্রী পি. চিদাম্বরম বলেন, “পুরুষ সাংবাদিকদের উচিত ছিল প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াকআউট করা।”

এই ঘটনা ভারতের ‘নারী শক্তি’ স্লোগানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিশেষ করে যখন তালেবান সরকারের নারী অধিকারবিরোধী কঠোর নীতি নিয়ে ভারত বহুদিন ধরে সমালোচনা করে আসছে, তখন নিজেদের মাটিতেই এমন বৈষম্য এক নৈতিক ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
৪ বার পড়া হয়েছে

তালেবানকে বুকে টেনে নারী সাংবাদিকদের বাদ দিল ভারত!

আপডেট সময় ১০:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সাম্প্রতিক ভারত সফর ঘিরে বড় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
দীর্ঘদিন তালেবানকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যা দেওয়া দিল্লির সরকার এবার পাকিস্তানবিরোধী কূটনৈতিক স্বার্থে সেই তালেবান সরকারের সঙ্গেই কূটনৈতিক উষ্ণতা দেখাচ্ছে।

কিন্তু এই সফরে ঘটে যায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা—মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা!
পোশাকবিধি মেনেও অনেক নারী সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারা বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই সংবাদ সম্মেলনে ভারত সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না; আমন্ত্রণ তালিকা তৈরি করেছে মুম্বাইস্থ আফগান কনস্যুলেট।
তবে বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলগুলো ক্ষোভে ফেটে পড়ে।

রাহুল গান্ধী এক্স পোস্টে লিখেছেন, “যখন নারী সাংবাদিকদের বাদ দেওয়া হয়, তখন পুরো দেশের নারীদের অসম্মান করা হয়।”
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রশ্ন তোলেন, “যে দেশের নারীরা গর্বের প্রতীক, তাদের এমন অপমানের দায় কে নেবে?”

অন্যদিকে সাবেক মন্ত্রী পি. চিদাম্বরম বলেন, “পুরুষ সাংবাদিকদের উচিত ছিল প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াকআউট করা।”

এই ঘটনা ভারতের ‘নারী শক্তি’ স্লোগানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিশেষ করে যখন তালেবান সরকারের নারী অধিকারবিরোধী কঠোর নীতি নিয়ে ভারত বহুদিন ধরে সমালোচনা করে আসছে, তখন নিজেদের মাটিতেই এমন বৈষম্য এক নৈতিক ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।