ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইরানের বিরুদ্ধে ফের শক্ত হুঁশিয়ারি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo ‘আমরা কুকুর নই’: গাজায় প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণকে ফিলিস্তিনিরা অবমাননাকর মনে করছেন Logo ডিসেম্বরে শেষ হবে গণহত্যার প্রধান অভিযুক্তদের বিচার: চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম Logo ক্ষমতায় গেলে শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেবে বিএনপি: ফখরুল Logo বাড়ির দখল নিতে গিয়ে বাবার ওপর বর্বর হামলা, গুরুতর আহত বৃদ্ধ Logo উত্তর আমেরিকায় মুক্তি পাচ্ছে জয়া আহসানের ‘ডিয়ার মা’, ভাঙলো এক রেকর্ড Logo ফরিদপুরে র‍্যাব সেজে ডাকাতির চেষ্টা, গ্রেফতার ৫ দুর্বৃত্ত Logo জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় ভয়াবহ পরিণতি আসবে: হুঁশিয়ারি ইসরায়েল প্রতিরক্ষামন্ত্রীর Logo গাজায় শিশুদের অনাহার চললে ইসরায়েলকে সহায়তা নয়: মার্কিন সিনেটর অ্যাঙ্গাস কিং Logo গাজায় ত্রাণ পাঠাতে ফ্রান্স-যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ জার্মানি-স্পেনের

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯।

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এখন পর্যন্ত অন্তত ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। যা আরও কয়েকদিন চলবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

 

থাই সরকারের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য মতে, বন্যার কারণে ১ লাখ ৫৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
 
থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলে পাঁচটি প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। সেগুলো হলো- পাত্তানি, নারাথিওয়াত, সোংখলা, নাখোন সি থামমারাত ও ফাথালুং। প্রদেশগুলোর ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
 
 
মুখপাত্র আরও বলেন, বন্যা আক্রান্তদের সহায়তা ও সেবা প্রদানের জন্য জন্য মানসিক স্বাস্থ্য দল পাঠানো হয়েছে।
 
বন্যার কারণে স্বাভাবিকভাবেই চরম ভোগান্তির শিকার লাখ লাখ মানুষ। নারাথিওয়াত প্রদেশের তাক বাই জেলার এক নারী স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থাই পিবিএসকে বলছিলেন, গত তিনি তিন দিন ধরে বাড়িতে ফিরতে পারেননি। তার বাড়ি বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার পর তিনি স্থানীয় মন্দিরে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছেন।
 
থাই আবহাওয়া বিভাগ বুধবার সকালে সতর্ক করেছে যে, একটি নিম্নচাপ দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মালয়েশিয়া ও আন্দামান সাগরজুড়ে প্রবাহিত হওয়ায় দক্ষিণ থাইল্যান্ডে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
 
 
এদিকে থাই খনিজ সম্পদ বিভাগ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সম্ভাব্য ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার বিষয়ে সতর্ক করেছে। জরুরি দুর্যোগ মোকাবিলা দলগুলো বন্যার পানি নিষ্কাশন ও বন্যা দুর্গতদের শুষ্ক এলাকায় সরিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করছে।
 
সরকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সহায়তার জন্য উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে এবং প্রতিটি প্রদেশের জন্য বন্যা ত্রাণে ৫০ মিলিয়ন বাথ বরাদ্দ করেছে। মঙ্গলবার থাই মন্ত্রিসভা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য পরিবার পিছু ৯ হাজার বাথ অর্থ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।
  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৩৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
১০৪ বার পড়া হয়েছে

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯

আপডেট সময় ১০:৩৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯।

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এখন পর্যন্ত অন্তত ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। যা আরও কয়েকদিন চলবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

 

থাই সরকারের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য মতে, বন্যার কারণে ১ লাখ ৫৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
 
থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলে পাঁচটি প্রদেশে বন্যা দেখা দিয়েছে। সেগুলো হলো- পাত্তানি, নারাথিওয়াত, সোংখলা, নাখোন সি থামমারাত ও ফাথালুং। প্রদেশগুলোর ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
 
 
মুখপাত্র আরও বলেন, বন্যা আক্রান্তদের সহায়তা ও সেবা প্রদানের জন্য জন্য মানসিক স্বাস্থ্য দল পাঠানো হয়েছে।
 
বন্যার কারণে স্বাভাবিকভাবেই চরম ভোগান্তির শিকার লাখ লাখ মানুষ। নারাথিওয়াত প্রদেশের তাক বাই জেলার এক নারী স্থানীয় সংবাদমাধ্যম থাই পিবিএসকে বলছিলেন, গত তিনি তিন দিন ধরে বাড়িতে ফিরতে পারেননি। তার বাড়ি বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার পর তিনি স্থানীয় মন্দিরে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছেন।
 
থাই আবহাওয়া বিভাগ বুধবার সকালে সতর্ক করেছে যে, একটি নিম্নচাপ দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মালয়েশিয়া ও আন্দামান সাগরজুড়ে প্রবাহিত হওয়ায় দক্ষিণ থাইল্যান্ডে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।
 
 
এদিকে থাই খনিজ সম্পদ বিভাগ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সম্ভাব্য ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার বিষয়ে সতর্ক করেছে। জরুরি দুর্যোগ মোকাবিলা দলগুলো বন্যার পানি নিষ্কাশন ও বন্যা দুর্গতদের শুষ্ক এলাকায় সরিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করছে।
 
সরকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সহায়তার জন্য উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে এবং প্রতিটি প্রদেশের জন্য বন্যা ত্রাণে ৫০ মিলিয়ন বাথ বরাদ্দ করেছে। মঙ্গলবার থাই মন্ত্রিসভা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য পরিবার পিছু ৯ হাজার বাথ অর্থ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।