ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo বাংলাদেশে ১৪৪৭ হিজরি রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে Logo রংপুর-৩ আসনে জিএম কাদেরের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ Logo শেখ হাসিনা–ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা Logo  তারেক রহমানের পক্ষে বগুড়া-৬ আসনের মনোনয়ন ফরম উত্তোলন Logo সিইসির সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের বৈঠক সম্পন্ন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা Logo নজরুল সমাধিসৌধে ওসমান হাদির পাশাপাশি যেসব বিশিষ্টজন শায়িত Logo সুদানে ড্রোন হামলায় নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর জানাজায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চার দেশে বন্যা–ভূমিধসে প্রাণহানির সংখ্যা পেরোল এক হাজার

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চার দেশে টানা বৃষ্টি, ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধসে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কয়েক দিন ধরে চলমান উদ্ধার অভিযানের মধ্যেই বহু মানুষ এখনো বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছে।

আল জাজিরার তথ্যমতে, অস্বাভাবিক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের পর ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিস্তীর্ণ এলাকায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এসব দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১,০১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া ও বিচ্ছিন্ন যোগাযোগব্যবস্থার মধ্যেও ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো উত্তর সুমাত্রার দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করে বলেন, সরকারের প্রধান লক্ষ্য হলো দ্রুততম সময়ে বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোতে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। এ জন্য দেশটি হেলিকপ্টার ও বিমান মোতায়েন করেছে। দেশটিতে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ৫০২ জন নিহত হয়েছেন এবং অনেকেই এখনো নিখোঁজ।

শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’–এর প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ৩৩৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, নিখোঁজ অনেক মানুষের খোঁজ পাওয়া না যাওয়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।

থাইল্যান্ডের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে চলমান বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ চললেও সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার পার্লিস রাজ্যে প্রবল বর্ষণে পৃথক দুটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
১৯ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চার দেশে বন্যা–ভূমিধসে প্রাণহানির সংখ্যা পেরোল এক হাজার

আপডেট সময় ০২:৩১:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চার দেশে টানা বৃষ্টি, ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধসে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কয়েক দিন ধরে চলমান উদ্ধার অভিযানের মধ্যেই বহু মানুষ এখনো বাস্তুচ্যুত অবস্থায় রয়েছে।

আল জাজিরার তথ্যমতে, অস্বাভাবিক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের পর ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিস্তীর্ণ এলাকায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এসব দেশে এখন পর্যন্ত মোট ১,০১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া ও বিচ্ছিন্ন যোগাযোগব্যবস্থার মধ্যেও ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো উত্তর সুমাত্রার দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করে বলেন, সরকারের প্রধান লক্ষ্য হলো দ্রুততম সময়ে বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোতে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। এ জন্য দেশটি হেলিকপ্টার ও বিমান মোতায়েন করেছে। দেশটিতে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ৫০২ জন নিহত হয়েছেন এবং অনেকেই এখনো নিখোঁজ।

শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’–এর প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ৩৩৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, নিখোঁজ অনেক মানুষের খোঁজ পাওয়া না যাওয়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন।

থাইল্যান্ডের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে চলমান বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণ চললেও সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা বাড়ছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ার পার্লিস রাজ্যে প্রবল বর্ষণে পৃথক দুটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি