ঢাকা ০৬:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান Logo প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা: সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার Logo বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ২৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা Logo আইএল টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজের দুর্দান্ত ১৮তম ওভার, তবু অল্প ব্যবধানে হারল দুবাই ক্যাপিটালস

দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা

নিজস্ব সংবাদ :

পাকিস্তানের আলোচিত তোষাখানা–২ দুর্নীতি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিণ্ডির একটি বিশেষ আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে দু’জনকে ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে কারাভোগের মেয়াদ আরও বাড়বে।

রায়ের পর ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা জানান, এই আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

পাকিস্তানের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা এনএবি তোষাখানা দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রথম মামলার পর গত বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় এই মামলা দায়ের করে। এতে অভিযোগ করা হয়, রাষ্ট্রীয় উপহার সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘন করে ইমরান খান ও তার স্ত্রী জালিয়াতির মাধ্যমে মূল্যবান উপহার আত্মসাৎ করেছেন।

রাওয়ালপিণ্ডির আদিয়ালা কারাগারের ভেতরে বসানো বিশেষ আদালতে প্রায় ৮০টি শুনানি শেষে শনিবার রায় দেওয়া হয়। আদালত পাকিস্তান দণ্ডবিধির দুটি ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড আরোপ করেন।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২১ সালে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের পক্ষ থেকে পাওয়া রাষ্ট্রীয় উপহার হিসেবে দেওয়া একটি দামী গয়নার সেট নামমাত্র মূল্যে নিজেদের কাছে রেখে দেন ইমরান খান ও বুশরা বিবি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান খান দাবি করেছেন, তাকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতেই পরিকল্পিতভাবে এই মামলা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগস্টে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় গ্রেপ্তার হয়ে রাওয়ালপিণ্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি রয়েছেন ইমরান খান। এর আগেও তোষাখানার প্রথম মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড হয় এবং ইমরান খানকে ১০ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
৫ বার পড়া হয়েছে

দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা

আপডেট সময় ০৪:০৮:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

পাকিস্তানের আলোচিত তোষাখানা–২ দুর্নীতি মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিণ্ডির একটি বিশেষ আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে দু’জনকে ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে কারাভোগের মেয়াদ আরও বাড়বে।

রায়ের পর ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা জানান, এই আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

পাকিস্তানের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা এনএবি তোষাখানা দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রথম মামলার পর গত বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় এই মামলা দায়ের করে। এতে অভিযোগ করা হয়, রাষ্ট্রীয় উপহার সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘন করে ইমরান খান ও তার স্ত্রী জালিয়াতির মাধ্যমে মূল্যবান উপহার আত্মসাৎ করেছেন।

রাওয়ালপিণ্ডির আদিয়ালা কারাগারের ভেতরে বসানো বিশেষ আদালতে প্রায় ৮০টি শুনানি শেষে শনিবার রায় দেওয়া হয়। আদালত পাকিস্তান দণ্ডবিধির দুটি ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড আরোপ করেন।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২১ সালে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের পক্ষ থেকে পাওয়া রাষ্ট্রীয় উপহার হিসেবে দেওয়া একটি দামী গয়নার সেট নামমাত্র মূল্যে নিজেদের কাছে রেখে দেন ইমরান খান ও বুশরা বিবি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান খান দাবি করেছেন, তাকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতেই পরিকল্পিতভাবে এই মামলা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগস্টে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় গ্রেপ্তার হয়ে রাওয়ালপিণ্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি রয়েছেন ইমরান খান। এর আগেও তোষাখানার প্রথম মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড হয় এবং ইমরান খানকে ১০ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।