ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান

‘ধর্মহীন শিক্ষা বিপথে নিতে পারে’—ধর্ম উপদেষ্টার সতর্কবার্তা

নিজস্ব সংবাদ :

সংগৃহিত

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেছেন, আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি দ্বীনি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা গেলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। তার মতে, শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ধর্ম বিচ্ছিন্ন হলে তরুণরা ভুল পথে চলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর ওয়েল পার্ক হোটেলে আসসুন্নাহ মডেল মাদরাসার বার্ষিক মাহফিল ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জানান, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং একটি গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা বিজয়ী হবেন তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের মাধ্যমে বর্তমান সরকার বিদায় নেবে।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ ও চাঁদাবাজমুক্ত একটি দেশ গড়তে হলে আল্লাহভীরু, চরিত্রবান ও সৎ ব্যক্তিদের রাষ্ট্র পরিচালনায় এগিয়ে আসতে হবে। তরুণদেরও আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষায় ধর্মীয় মূল্যবোধ যুক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন—বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপাসনালয় থাকে। সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা সমন্বিত না হলে সমাজে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেতে পারে। তার ভাষায়, শিক্ষা থেকে ধর্ম আলাদা করলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা তৈরি হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও মাদরাসার প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম আযহারী। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. মমতাজ উদ্দীন কাদেরী, অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির খালভী, মুফতি আবুল কালাম আল আজাদ, সুহাইল সালেহ, শয়েখ নাসির উদ্দীন এবং মুফতি মাসউদুর রহমান বক্তব্য দেন।

শেষে ২০২৫ সালের হিফজ বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন ধর্ম উপদেষ্টা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
৩১ বার পড়া হয়েছে

‘ধর্মহীন শিক্ষা বিপথে নিতে পারে’—ধর্ম উপদেষ্টার সতর্কবার্তা

আপডেট সময় ০৬:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেছেন, আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি দ্বীনি শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা গেলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। তার মতে, শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ধর্ম বিচ্ছিন্ন হলে তরুণরা ভুল পথে চলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

শনিবার (২২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর ওয়েল পার্ক হোটেলে আসসুন্নাহ মডেল মাদরাসার বার্ষিক মাহফিল ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জানান, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং একটি গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা বিজয়ী হবেন তাদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের মাধ্যমে বর্তমান সরকার বিদায় নেবে।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ ও চাঁদাবাজমুক্ত একটি দেশ গড়তে হলে আল্লাহভীরু, চরিত্রবান ও সৎ ব্যক্তিদের রাষ্ট্র পরিচালনায় এগিয়ে আসতে হবে। তরুণদেরও আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষায় ধর্মীয় মূল্যবোধ যুক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন—বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপাসনালয় থাকে। সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা সমন্বিত না হলে সমাজে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেতে পারে। তার ভাষায়, শিক্ষা থেকে ধর্ম আলাদা করলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা তৈরি হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও মাদরাসার প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম আযহারী। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. মমতাজ উদ্দীন কাদেরী, অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির খালভী, মুফতি আবুল কালাম আল আজাদ, সুহাইল সালেহ, শয়েখ নাসির উদ্দীন এবং মুফতি মাসউদুর রহমান বক্তব্য দেন।

শেষে ২০২৫ সালের হিফজ বিভাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন ধর্ম উপদেষ্টা।