বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, গত নভেম্বরে বেড়েছে দেশের রফতানি আয়। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত বছরের নভেম্বরে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৫৬ কোটি ২৯ লাখ ডলার।
নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কোটি ৬১ লাখ ডলারে। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৮৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বলেও জানান আনোয়ার হোসেন।
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া ১৫৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের নভেম্বরে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে হোম টেক্সটাইল ও কৃষিখাতের রফতানি বেড়েছে। হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় ২০ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ১৯ লাখ ডলারে। কৃষিপণ্যের রফতানি আয় ১৫ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে ১০ কোটি ৯৯ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তবে কমেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি। নভেম্বরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ৪১ লাখ ডলারে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ১৯ হাজার ৯০৬ দশমিক ০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।