ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেপালের অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ জানালেন মোদি

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই সহিংস পরিস্থিতি দমন করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগের পর রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় চলছে তল্লাশি অভিযান, আটক করা হচ্ছে সন্দেহভাজনদের।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সেনারা টহল শুরু করেছে। এখনো শহরের রাস্তায় দেখা মিলছে পোড়া যানবাহনের ধোঁয়া ও ভাঙচুরের চিহ্ন। সেনাবাহিনী সাধারণ নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল টেলিভিশন ভাষণে আন্দোলন থামিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতীয় ঐতিহ্য, কূটনৈতিক মিশন ও জনসাধারণের নিরাপত্তা রক্ষা সবার দায়িত্ব।

এর আগে, মঙ্গলবারের (৯ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভে আগুনে ভস্মীভূত হয় নেপালের সুপ্রিম কোর্ট, পার্লামেন্ট ভবন এবং একাধিক এমপি ও মন্ত্রীর বাসভবন। একই ঘটনায় প্রাণ হারান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝলানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকার। এমনকি ওলির ব্যক্তিগত বাড়িতেও আগুন ধরানো হয়।

অন্যদিকে মাহোত্তারির জ্বলেশ্বর কারাগারে হামলা চালিয়ে বিক্ষোভকারীরা হাজারো কয়েদিকে মুক্ত করে দেয়। সংখ্যায় বেশি থাকায় তাদের প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।

পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি নেপালের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতিবেশী দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি ভারতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩ বার পড়া হয়েছে

নেপালের অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ জানালেন মোদি

আপডেট সময় ০৫:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই সহিংস পরিস্থিতি দমন করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগের পর রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় চলছে তল্লাশি অভিযান, আটক করা হচ্ছে সন্দেহভাজনদের।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সেনারা টহল শুরু করেছে। এখনো শহরের রাস্তায় দেখা মিলছে পোড়া যানবাহনের ধোঁয়া ও ভাঙচুরের চিহ্ন। সেনাবাহিনী সাধারণ নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল টেলিভিশন ভাষণে আন্দোলন থামিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতীয় ঐতিহ্য, কূটনৈতিক মিশন ও জনসাধারণের নিরাপত্তা রক্ষা সবার দায়িত্ব।

এর আগে, মঙ্গলবারের (৯ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভে আগুনে ভস্মীভূত হয় নেপালের সুপ্রিম কোর্ট, পার্লামেন্ট ভবন এবং একাধিক এমপি ও মন্ত্রীর বাসভবন। একই ঘটনায় প্রাণ হারান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝলানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকার। এমনকি ওলির ব্যক্তিগত বাড়িতেও আগুন ধরানো হয়।

অন্যদিকে মাহোত্তারির জ্বলেশ্বর কারাগারে হামলা চালিয়ে বিক্ষোভকারীরা হাজারো কয়েদিকে মুক্ত করে দেয়। সংখ্যায় বেশি থাকায় তাদের প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ।

পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি নেপালের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রতিবেশী দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি ভারতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।