পাকিস্তানের অভিযোগ অস্বীকার করল আফগানিস্তান, বলল— ভারতের হয়ে কোনো প্রক্সি যুদ্ধ নয়
ভারতের হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রক্সি যুদ্ধ চালানোর অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও অগ্রহণযোগ্য বলে প্রত্যাখ্যান করেছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। কাবুল জানিয়েছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কেবল জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতেই গড়ে উঠছে।
সম্প্রতি সীমান্ত উত্তেজনা থেমে গেলেও আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক বাগযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তান ভারতের হয়ে সীমান্তে প্রক্সি যুদ্ধে জড়িত। তবে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী মৌলভি মোহাম্মদ ইয়াকুব মুজাহিদ এই দাবি সরাসরি নাকচ করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সম্পূর্ণ স্বাধীন। আফগান ভূমি কখনোই অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে দেওয়া হবে না। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কও কেবল জাতীয় স্বার্থের কারণেই শক্তিশালী করা হচ্ছে।”
অন্যদিকে, সীমান্তে উত্তেজনা বাড়লে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির। রাওয়ালপিন্ডির জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতায় কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ হলে পাকিস্তান দৃঢ় ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
তিনি আরও জানান, বেলুচিস্তানসহ সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাস দমনে সামরিক অভিযান চলমান থাকবে এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে অক্টোবর মাসে অবৈধভাবে বসবাসরত প্রায় ২২ হাজার আফগান নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর তিন ধাপে প্রায় ৬৫ হাজার আফগানকে সীমান্তে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পাঞ্জাবে অবস্থিত আফগান শরণার্থী শিবিরগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
একই সময়ে, কাবুলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে এগোচ্ছে ভারত। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর বন্ধ থাকা কাবুলস্থ ভারতীয় দূতাবাস সম্প্রতি পুনরায় পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আফগানিস্তানের পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং উন্নয়ন সহযোগিতায় দেশটি আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে চায়।