ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ব্রিসবেন বিমানবন্দরে ইংল্যান্ড দলের নিরাপত্তাকর্মীর আচরণ নিয়ে বিতর্ক Logo বিজয় দিবসে ৫৪ প্যারাট্রুপারের পতাকা জাম্প, বিশ্ব রেকর্ডে থাকছেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী Logo ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় ফয়সাল করিমের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত Logo গুলিবর্ষণে নতুন তথ্য: ওসমান হাদীর ওপর হামলায় ব্যবহৃত বাইকের চালক শনাক্তের দাবি দ্য ডিসেন্টের Logo আজ পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Logo পঞ্চগড়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, দুইটি ভাটা উচ্ছেদ Logo সরকার আন্তরিক হলে ২৪ ঘণ্টায় হামলাকারী গ্রেপ্তার সম্ভব: রুমিন ফারহানা Logo নির্বাচন সামনে রেখে সিইসি ও কমিশনারদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা চাইল ইসি Logo নোয়াখালী এক্সপ্রেসে অধিনায়কত্ব নিয়ে ধোঁয়াশা, সৌম্য সরকার প্রথম পছন্দ হলেও বিকল্প ভাবনায় দল Logo জিওস্টার চুক্তি নিয়ে জল্পনার অবসান, অবস্থান পরিষ্কার করলো আইসিসি

পাকিস্তানের সমুদ্রে কৃত্রিম দ্বীপ—তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে নতুন অধ্যায়

নিজস্ব সংবাদ :

সংগৃহিত

পাকিস্তান এবার সমুদ্রের ভেতরে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের প্রস্তুতি শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড (পিপিএল)-এর বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিন্ধু উপকূলের সুজাওয়াল জেলার প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে, সমুদ্রের মধ্যভাগে এই কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করা হবে। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত একটি তেল-গ্যাস সম্মেলনে পিপিএলের জেনারেল ম্যানেজার (এক্সপ্লোরেশন ও কোর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) আরশাদ পালেকার গণমাধ্যমকে জানান—এই প্ল্যাটফর্মটি সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা মোকাবিলা করার মতো করে নকশা করা হয়েছে, যাতে দিন-রাত নির্বিঘ্নে অনুসন্ধান চলতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের সম্ভাব্য ‘বড় তেলসম্পদে’ আগ্রহ প্রকাশ করায় অফশোর ড্রিলিং কার্যক্রম নতুন গতি পায়। এর পরপরই পিপিএল, মারি এনার্জিস লিমিটেড এবং প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল অয়েল অ্যান্ড গ্যাসকে নতুন অনুসন্ধান লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

আর্শাদ পালেকার আরও জানান, পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। আবুধাবির একটি সফল অফশোর প্রকল্পের আদলে এই কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ড্রিলিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরো দ্বীপের কাজ শেষ হবে। এরপর ২৫টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ সফল হলে পাকিস্তানে জাহাজের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি বৃহৎ সমুদ্রগামী জাহাজগুলো পূর্ব থেকে পশ্চিমমুখী দীর্ঘ রুট পাড়ি দিতে পারবে কোনো বিরতি ছাড়াই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—পাকিস্তানের তেল-গ্যাস চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ হতে পারে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:২১:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
২৮ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তানের সমুদ্রে কৃত্রিম দ্বীপ—তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে নতুন অধ্যায়

আপডেট সময় ০৮:২১:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

পাকিস্তান এবার সমুদ্রের ভেতরে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের প্রস্তুতি শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি পাকিস্তান পেট্রোলিয়াম লিমিটেড (পিপিএল)-এর বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিন্ধু উপকূলের সুজাওয়াল জেলার প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে, সমুদ্রের মধ্যভাগে এই কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করা হবে। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত একটি তেল-গ্যাস সম্মেলনে পিপিএলের জেনারেল ম্যানেজার (এক্সপ্লোরেশন ও কোর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) আরশাদ পালেকার গণমাধ্যমকে জানান—এই প্ল্যাটফর্মটি সমুদ্রের ঢেউয়ের উচ্চতা মোকাবিলা করার মতো করে নকশা করা হয়েছে, যাতে দিন-রাত নির্বিঘ্নে অনুসন্ধান চলতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের সম্ভাব্য ‘বড় তেলসম্পদে’ আগ্রহ প্রকাশ করায় অফশোর ড্রিলিং কার্যক্রম নতুন গতি পায়। এর পরপরই পিপিএল, মারি এনার্জিস লিমিটেড এবং প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল অয়েল অ্যান্ড গ্যাসকে নতুন অনুসন্ধান লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

আর্শাদ পালেকার আরও জানান, পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। আবুধাবির একটি সফল অফশোর প্রকল্পের আদলে এই কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ড্রিলিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরো দ্বীপের কাজ শেষ হবে। এরপর ২৫টি কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ সফল হলে পাকিস্তানে জাহাজের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি বৃহৎ সমুদ্রগামী জাহাজগুলো পূর্ব থেকে পশ্চিমমুখী দীর্ঘ রুট পাড়ি দিতে পারবে কোনো বিরতি ছাড়াই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—পাকিস্তানের তেল-গ্যাস চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ হতে পারে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।