দীর্ঘ সময় ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পাপিয়া সারোয়ার। খ্যাতিমান এ সংগীতশিল্পীর মরদেহ এই মুহূর্তে বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
পাপিয়া সারোয়ারের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর)। জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন কালজয়ী গান ‘নাই টেলিফোন, নাইরে পিয়ন’খ্যাত এ সংগীতশিল্পী।
বনানী কবরস্থানে পাপিয়া সারোয়ারকে সমাহিত করা প্রসঙ্গে সারোয়ার আলম বলেন, ‘আমার এবং পাপিয়ার পরিবারের অনেক সদস্যকেই বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। তাই পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাপিয়াকে বনানী কবরস্থানে তার বাবার কবরে সমাহিত করা হবে।’
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে, ১৯৫২ সালে ২১ নভেম্বর। ১৯৭৮ সালে সারোয়ার আলমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। মৃত্যুকালে স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন তিনি।
বড় মেয়ে জারা সারোয়ার কলেজ অব নিউ জার্সিতে জীববিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক এবং ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার কানাডার অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন নির্বাহী কর্মকর্তা।
পাপিয়া সারোয়ার ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে পড়াশোনা করেছেন। তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তী সময়ে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন।
১৯৯৬ সালে তিনি ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার অসংখ্য অ্যালবাম রয়েছে। আধুনিক গানেও রয়েছে তার সাফল্য। তবে ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি দিয়ে তিনি অসংখ্য ভক্তের হৃদয় জয় করে নিয়েছিলেন।