বুধবার ট্রাম্প-মোদির মধ্যে কোনো ফোনালাপ হয়নি: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার আশ্বাস দিয়েছেন—এমন প্রতিবেদনকে সরাসরি অস্বীকার করেছে নয়াদিল্লি।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নিশ্চিত করেন, বুধবার দু’নেতার মধ্যে কোনো কথোপকথন হয়নি।
দৈনিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জয়সওয়াল বলেন, “জ্বালানি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে একটি বিবৃতি দিয়েছি। আপনি সেটি উল্লেখ করতে পারেন। তবে বুধবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে কোনো ফোনালাপ হয়নি—এটা স্পষ্ট করে দিচ্ছি।”
তিনি আরও জানান, মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে সর্বশেষ ফোনালাপ হয়েছিল ৯ অক্টোবর। ওই সময় মোদি গাজা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান এবং দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনা নিয়েও মতবিনিময় হয়। উভয়পক্ষ এ বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়।
জ্বালানি আমদানিকে ঘিরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত তেল ও গ্যাসের অন্যতম বৃহৎ আমদানিকারক দেশ। বিশ্ববাজারে চলমান অস্থিরতার মধ্যে দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করাই ভারতের মূল লক্ষ্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জ্বালানির দামের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপদ সরবরাহ নিশ্চিত করাই ভারতের জ্বালানি নীতির মূল লক্ষ্য। এর আওতায় উৎসের বৈচিত্র আনাসহ আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী আমদানি কৌশল নির্ধারণ করা হয়।
জয়সওয়াল বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের জ্বালানি সম্পর্ক বহু বছর ধরেই সম্প্রসারণের পথে রয়েছে। বিগত এক দশকে এই সম্পর্ক উন্নয়নের ধারায় রয়েছে। বর্তমান মার্কিন প্রশাসনও এই সহযোগিতা আরও গভীর করতে আগ্রহী, এবং এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা এখনো চলছে।”
এর বিপরীতে, বুধবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমি খুশি ছিলাম না যে ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছিল। তবে আজ মোদি আমাকে জানিয়েছেন, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে।”
তিনি এটিকে একটি “বড় পদক্ষেপ” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এখন আমরা চীনকেও একই পথে হাঁটতে বলব।”