ঢাকা ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাইরাল ভিডিওটি খাগড়াছড়ির নয়, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তের সামরিক উত্তেজনার দৃশ্য

নিজস্ব সংবাদ :

 

সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ও সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, মিয়ানমারের সশস্ত্র আরাকান আর্মি বাংলাদেশে প্রবেশ করে বাঙালি পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে। ফেসবুকে ভিডিওটির সঙ্গে ‘বান্দরবান বর্ডার’ হ্যাশট্যাগও যুক্ত ছিল।

তবে এএফপির তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, এই ভিডিওটির আসল ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি মূলত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী একটি মন্দির এলাকায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে তর্ক ও উত্তেজনার দৃশ্য।

ভিডিওটি প্রথম ফেসবুকে ২০২৫ সালের ৪ অক্টোবর পোস্ট করা হয়। কিন্তু গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে জানা যায়, একই ভিডিও থাই সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নেশন’ গত ১৫ জুলাই প্রকাশ করেছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সৈন্যরা সীমান্তবর্তী খেমার মন্দির এলাকায় মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছেন।

মে মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত এলাকার মন্দিরগুলোকে ঘিরে উত্তেজনা বেড়ে ওঠে। জুলাইয়ে সংঘর্ষে অন্তত ৪৩ জন প্রাণ হারান এবং তিন লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর মধ্য জুলাইয়ে দুই দেশ সংঘর্ষ বন্ধ করে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে সমঝোতায় পৌঁছায়।

এএফপি আরো জানায়, ভিডিওতে থাকা সেনারা থাই ও কম্বোডিয়ার সামরিক ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন এবং তাদের কথা খমের ভাষায় শোনা যায়। একই এলাকার মার্চ মাসে তোলা একটি ছবিতেও তাদের একই পোশাক ধরা পড়ে।

সুতরাং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি বাংলাদেশে আরাকান আর্মির হামলার নয়; এটি পুরনো একটি দৃশ্য যা থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘটিত সামরিক উত্তেজনার অংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:২৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
৫ বার পড়া হয়েছে

ভাইরাল ভিডিওটি খাগড়াছড়ির নয়, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তের সামরিক উত্তেজনার দৃশ্য

আপডেট সময় ০৭:২৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

 

সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ ও সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, মিয়ানমারের সশস্ত্র আরাকান আর্মি বাংলাদেশে প্রবেশ করে বাঙালি পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে। ফেসবুকে ভিডিওটির সঙ্গে ‘বান্দরবান বর্ডার’ হ্যাশট্যাগও যুক্ত ছিল।

তবে এএফপির তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, এই ভিডিওটির আসল ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি মূলত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী একটি মন্দির এলাকায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে তর্ক ও উত্তেজনার দৃশ্য।

ভিডিওটি প্রথম ফেসবুকে ২০২৫ সালের ৪ অক্টোবর পোস্ট করা হয়। কিন্তু গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চে জানা যায়, একই ভিডিও থাই সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নেশন’ গত ১৫ জুলাই প্রকাশ করেছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সৈন্যরা সীমান্তবর্তী খেমার মন্দির এলাকায় মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছেন।

মে মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত এলাকার মন্দিরগুলোকে ঘিরে উত্তেজনা বেড়ে ওঠে। জুলাইয়ে সংঘর্ষে অন্তত ৪৩ জন প্রাণ হারান এবং তিন লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর মধ্য জুলাইয়ে দুই দেশ সংঘর্ষ বন্ধ করে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে সমঝোতায় পৌঁছায়।

এএফপি আরো জানায়, ভিডিওতে থাকা সেনারা থাই ও কম্বোডিয়ার সামরিক ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন এবং তাদের কথা খমের ভাষায় শোনা যায়। একই এলাকার মার্চ মাসে তোলা একটি ছবিতেও তাদের একই পোশাক ধরা পড়ে।

সুতরাং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি বাংলাদেশে আরাকান আর্মির হামলার নয়; এটি পুরনো একটি দৃশ্য যা থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘটিত সামরিক উত্তেজনার অংশ।