ঢাকা ১২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :

মিটফোর্ডের ঘটনায় ভাষা হারিয়ে ফেলেছি: জামায়াত আমির

নিজস্ব সংবাদ :

 

রাজধানী পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনা বিদেশে অবস্থানরত থাকা অবস্থায় জেনে সকল ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এ কোন যুগ! কোন সমাজ! প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ক্ষুদ্র, সাধারণ ব্যবসায়ীকে শুধু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে শত শত মানুষের সামনে কতটা নির্মমভাবে হত্যা করা হলো!

তিনি লেখেন, হে ক্ষতিগ্রস্ত মজলুম পরিবার, আমরা তোমাদের কাছে লজ্জিত। হে ব্যবসায়ী ভাই সোহাগ, তোমার এই পরিণতি হওয়ার আগে সত্যিকারের কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলাম না — এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে লজ্জিত।

হে সমাজ, জেগে উঠো! মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার প্রমাণ দাও। মনে রেখো — আজ তুমি কারো বিপদে চুপ থাকলে, আগামীকাল তোমার ওপর এর চেয়েও বড় বিপদ এলে, তখন তুমি কাউকে পাশে পাবে না।

অতএব, ভয় ও সংকোচ উপেক্ষা করে আমাদেরকে সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হবে।

 

গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহের ওপর চলে বর্বরতা। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
৭২ বার পড়া হয়েছে

মিটফোর্ডের ঘটনায় ভাষা হারিয়ে ফেলেছি: জামায়াত আমির

আপডেট সময় ১২:৪০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

রাজধানী পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনা বিদেশে অবস্থানরত থাকা অবস্থায় জেনে সকল ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এ কোন যুগ! কোন সমাজ! প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ক্ষুদ্র, সাধারণ ব্যবসায়ীকে শুধু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে শত শত মানুষের সামনে কতটা নির্মমভাবে হত্যা করা হলো!

তিনি লেখেন, হে ক্ষতিগ্রস্ত মজলুম পরিবার, আমরা তোমাদের কাছে লজ্জিত। হে ব্যবসায়ী ভাই সোহাগ, তোমার এই পরিণতি হওয়ার আগে সত্যিকারের কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলাম না — এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে লজ্জিত।

হে সমাজ, জেগে উঠো! মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার প্রমাণ দাও। মনে রেখো — আজ তুমি কারো বিপদে চুপ থাকলে, আগামীকাল তোমার ওপর এর চেয়েও বড় বিপদ এলে, তখন তুমি কাউকে পাশে পাবে না।

অতএব, ভয় ও সংকোচ উপেক্ষা করে আমাদেরকে সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই হবে।

 

গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহের ওপর চলে বর্বরতা। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা বেশ আলোচনা সৃষ্টি হয়।