ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান

যুক্তরাষ্ট্রে পাল্টা শুল্ক কার্যকর, অনিশ্চিত রয়ে গেছে রুলস অব অরিজিন

নিজস্ব সংবাদ :

 

আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর নতুন করে বাড়তি শুল্ক দিতে হবে। বাংলাদেশের জন্য নতুন করে ধার্য শুল্কহার ২০ শতাংশ, যা আগের সাড়ে ১৬ শতাংশের সঙ্গে যুক্ত হবে।

ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকরা বলছেন, শুল্ক কার্যকর হলেও এখনো স্পষ্ট নয় কোন কোন শর্তে পণ্য পাঠানো যাবে। সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ‘রুলস অব অরিজিন’ বা পণ্যের উৎস সংক্রান্ত নীতিমালাকে ঘিরে। বিশ্লেষকদের মতে, এসব নীতির বিষয় আগেভাগেই পরিষ্কার না থাকলে রফতানিকারকদের জন্য এটি একটি বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। পরে জুলাইয়ে তা কমিয়ে ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তা আরও কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

স্বস্তির খবর হলো, প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্কহার এখন অনেকটাই সমান। তবে ভারতের ক্ষেত্রে শুল্কহার আরও বাড়ানো হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন দেশটির ওপর দুই দফায় শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে—যা বাংলাদেশের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ)–এর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান মনে করেন, শুল্ক বাড়লেও বাংলাদেশের পোশাক খাত অতটা সংকটে পড়বে না। তবে কিছু খাত—যেমন ওভেন গার্মেন্টস এবং নন-লেদার জুতা— কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তিনি বলেন, “৪০ শতাংশ ভ্যালিডেশন ক্রাইটেরিয়ার সঙ্গে প্রফিট মার্জিন মিলে ৫ শতাংশ হলে হয়তো খুব বেশি পণ্য আমদানি করা সম্ভব হবে না। তবে এই বাড়তি শুল্কের বোঝা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদেরই বহন করতে হবে।”

এদিকে, রুলস অব অরিজিন সংক্রান্ত অস্পষ্টতা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “যখন আমরা ক্রেতার সঙ্গে দরদাম করবো, তখন যদি জানাই না পণ্যটি যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে পৌঁছালে তাদের আমদানি নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে কি না, তাহলে এটা বড় ঝুঁকি। যদি রুলস অব অরিজিন পূরণ না করে, তাহলে পণ্য বন্দরে আটকে যাবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের পণ্যের বৈচিত্র্য ও উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হবে। না হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৩৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
১৫৬ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রে পাল্টা শুল্ক কার্যকর, অনিশ্চিত রয়ে গেছে রুলস অব অরিজিন

আপডেট সময় ০৭:৩৩:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

 

আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এখন থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর নতুন করে বাড়তি শুল্ক দিতে হবে। বাংলাদেশের জন্য নতুন করে ধার্য শুল্কহার ২০ শতাংশ, যা আগের সাড়ে ১৬ শতাংশের সঙ্গে যুক্ত হবে।

ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকরা বলছেন, শুল্ক কার্যকর হলেও এখনো স্পষ্ট নয় কোন কোন শর্তে পণ্য পাঠানো যাবে। সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ‘রুলস অব অরিজিন’ বা পণ্যের উৎস সংক্রান্ত নীতিমালাকে ঘিরে। বিশ্লেষকদের মতে, এসব নীতির বিষয় আগেভাগেই পরিষ্কার না থাকলে রফতানিকারকদের জন্য এটি একটি বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। পরে জুলাইয়ে তা কমিয়ে ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তা আরও কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

স্বস্তির খবর হলো, প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্কহার এখন অনেকটাই সমান। তবে ভারতের ক্ষেত্রে শুল্কহার আরও বাড়ানো হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন দেশটির ওপর দুই দফায় শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে—যা বাংলাদেশের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ)–এর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান মনে করেন, শুল্ক বাড়লেও বাংলাদেশের পোশাক খাত অতটা সংকটে পড়বে না। তবে কিছু খাত—যেমন ওভেন গার্মেন্টস এবং নন-লেদার জুতা— কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তিনি বলেন, “৪০ শতাংশ ভ্যালিডেশন ক্রাইটেরিয়ার সঙ্গে প্রফিট মার্জিন মিলে ৫ শতাংশ হলে হয়তো খুব বেশি পণ্য আমদানি করা সম্ভব হবে না। তবে এই বাড়তি শুল্কের বোঝা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদেরই বহন করতে হবে।”

এদিকে, রুলস অব অরিজিন সংক্রান্ত অস্পষ্টতা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “যখন আমরা ক্রেতার সঙ্গে দরদাম করবো, তখন যদি জানাই না পণ্যটি যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে পৌঁছালে তাদের আমদানি নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে কি না, তাহলে এটা বড় ঝুঁকি। যদি রুলস অব অরিজিন পূরণ না করে, তাহলে পণ্য বন্দরে আটকে যাবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের পণ্যের বৈচিত্র্য ও উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে হবে। না হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে।