যত বাধাই আসুক পিছপা হবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে এটা আমার যুদ্ধ। জীবনবাজি রেখেই লক্ষ্যস্থলে পৌঁছার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখব। রূপগঞ্জের প্রতিটি পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ে সমাজ গড়ার কাজে আরও জোরালোভাবে কাজ করব। আমার জীবন গেলে যাবে, কিন্তু কেউ আমাকে থামাতে পারবে না।’
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপি নেতারা আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন করছে অভিযোগ করে জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দীপুকে ইঙ্গিত করে এ শিল্পপতি বলেন, রূপগঞ্জে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীদের কারা পুনর্বাসন করছে, কারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে এটা সারা রূপগঞ্জের মানুষ জানে। এই দীপু-খোকনরা এখন রূপগঞ্জের গডফাদার। আওয়ামী লীগের সব ক্রিমিনাল খোকন-দীপুদের সঙ্গে জয়েন করছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমি তারেক সাহেবকে অনুরোধ করব আপনি প্রতিটি কাজ যাচাই করে করবেন। দেশবাসী আর অত্যচারিত-নির্যাতিত হতে চায় না। ষোলো বছরে অনেক জুলুম-অত্যাচার হয়েছে। এখন আগের চেয়ে এর মাত্রা ডাবল হয়ে গেছে। আপনার কাছে আমার অনুরোধ, আপনি এসব লোকজনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবেন না। সাধারণ মানুষকে আর জুলুম করার সুযোগ দেবেন না। চাঁবাজি, টেন্ডারমাজি, অস্ত্র, মাদক কোনো কিছু করতে এদের বাকি নেই। এক প্ল্যাটফর্ম। কোনো চেঞ্জ নেই। আগে যা ছিল এখন ডাবল হয়ে গেছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয় পুড়িয়ে দেয়া সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মতো পরিকল্পিত দাবি করে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন সেলিম প্রধান। বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ প্ল্যান করে কাজ করা। সচিবালয়ে আগুন দেয়ার ঘটনার মতো এটাও প্ল্যান করে কাজ করা। এটা ন্যাচারাল কোনো ঘটনা না। ওদের (শিক্ষার্থীদের) মন ভেঙে দেয়ার ষড়যন্ত্র। যাতে ওরা সামনে এগোতে না পারে। আমি মনে করি এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা আরও দশ গুণ শক্তিশালী হবে।’
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধান।