রোববার ( ৫ ডিসেম্বর) নতুন করে হামলা শুরুর পর থেকে দুপক্ষের তুমুল লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো ভারি অস্ত্রশস্ত্রের লড়াই বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মস্কো জানিয়েছে, বিমান, আর্টিলারি, ট্যাংক এবং সাঁজোয়া জানের বহর নিয়ে বড় ধরনের আক্রমণ চালিয়েছে। তাদের একটি বড় হামলা রুখে দেয়ার দাবি করেছেন রুশ সেনারা।
রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অফিসের প্রধান আন্দ্রিয়ে ইয়ারমাক বলেছেন, ‘কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের বাহিনী ভালো করছে। রাশিয়ার যা প্রাপ্য তারা তাই পেয়েছে।’
এর আগে আগস্টে ঝটিকা আক্রমণ চালিয়ে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে ইউক্রেনের বাহিনী। তখন থেকেই ওই অঞ্চলের বেশি কিছু ভূমি দখলে রেখেছেন তারা। জবাবে রাশিয়ান বাহিনী পাল্টা হামলা চালিয়ে তাদের পুরোপুরি হটিয়ে দিতে না পারলেও কিছু এলাকা থেকে হটিয়ে দিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, রোববার সকালে ইউক্রেনের দুটি ট্যাঙ্ক, একটি সামরিক প্রকৌশল যান এবং ১২টি সাঁজোয়া যুদ্ধযান সমন্বিত একটি ইউক্রেনীয় আক্রমণকারী দল বারদিন গ্রামের কাছে আক্রমণ করে। রাশিয়ান বাহিনী পাল্টা আঘাত করে দুটি ট্যাংক এবং সাতটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করে। লড়াই এখনও চলছে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।
এদিকে ইউক্রেনের শীর্ষ কাউন্টার-ডিসইনফরমেশন কর্মকর্তা অ্যান্ড্রি কোভালেঙ্কো একটি টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, কুরস্কে রাশিয়ার বাহিনীকে অত্যন্ত চাপে ফেলেছে কিয়েভের সেনারা। কারণ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে রাশিয়ানদের ওপর হামলা চালিয়েছে তারা; যার জন্য রাশিয়া মোটেও প্রস্তুত ছিল না।
কুরস্ক অঞ্চলে হামলা জোরদার করলেও দক্ষিণাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কে রুশ সেনাদের লাগাতার আক্রমণে পিছু হটছে ইউক্রেন। প্রতিদিনই নতুন নতুন ভূমি দখল করছে রাশিয়া।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের আক্রমণকে ‘বড় উস্কানি’ হিসাবে নিন্দা জানিয়েছেন।
তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে কিয়েভের বাহিনী জনবলের ঘাটতিতে ভুগছে বলে জানা গেছে।
এদিকে একটি পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করে বলেন, ট্রাম্পই রাশিয়ার অব্যাহত আগ্রাসন বন্ধ করতে পারবেন।
৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালানোর সময় ট্রাম্প বলেছিলেন তিনি নির্বাচিত হলে একদিনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন।