রাশিয়ার হামলার পর মিত্রদের প্রতি জেলেনস্কির বাস্তবায়নের আহ্বান
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার রাতভর ভয়াবহ হামলায় সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মিত্রদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, সম্প্রতি প্যারিসে হওয়া বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে, তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে রুশ বাহিনী ৮০০টিরও বেশি ড্রোন ও ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। হামলায় কিয়েভে ৩২ বছর বয়সী এক নারী ও তার দুই মাস বয়সী শিশু নিহত হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। জেলেনস্কির মতে, শান্তি আলোচনার সময় এমন হত্যাকাণ্ড ইচ্ছাকৃত অপরাধ এবং যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার কৌশল।
প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে প্রায় ৩০ জন পশ্চিমা শীর্ষ নেতা আলোচনা করেন। শুধু যুদ্ধ-পরবর্তী সামরিক সহায়তাই নয়, বরং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রস্তাব উঠে আসে। এর মধ্যে একটি নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোন তৈরির পরিকল্পনাও আলোচনায় গুরুত্ব পায়, যেখানে ন্যাটো দেশগুলোর পাশাপাশি সৌদি আরব ও বাংলাদেশকেও শান্তিরক্ষী ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।
জেলেনস্কি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় চাইলে ক্রেমলিনের ‘অপরাধীদের হত্যাযজ্ঞ’ বন্ধ করতে পারে, তবে এর জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কিয়েভে হামলার সময় সরকারি ভবন থেকে ধোঁয়া ও বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিরতির পর ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী সেনা পাঠানোর পশ্চিমা পরিকল্পনাকে ভীত করার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
অন্যদিকে, ইউক্রেনও পাল্টা আঘাত হেনেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইউক্রেন থেকে আসা অন্তত ৬৯টি ড্রোন প্রতিহত করেছে।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স