ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লস অ্যাঞ্জেলস/ দাবানল ধোঁয়া থেকে বাঁচতে বাসিন্দাদের ঘরে থাকার সতর্কতা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

লস অ্যাঞ্জেলস/  দাবানল ধোঁয়া থেকে বাঁচতে বাসিন্দাদের ঘরে থাকার সতর্কতা।

 

কয়েকদিন ধরে ভয়ংকর দাবানলে পুড়ছে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। এরইমধ্যে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে ১০ হাজারের বেশি অবকাঠামো। আগুনের ছাই ও ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে পুরো শহর। বাতাস দূষিত হওয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেস কর্তৃপক্ষ স্থানীয় স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। খবর বিবিসির।

দাবানল শুরু হওয়ার কয়েকদিন পর ধোঁয়ার আশঙ্কায় লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার ঘোষণা আসছে।


ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর এই ঘটনার একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে পানির অভাব এবং লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকার দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই ব্যাহত হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

দাবানলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্যালিসেডস এলাকার আগুন নিয়ন্ত্রণে এখনও কাজ করছেন ফায়ার কর্মীরা। সেখানকার আরও অনেক বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।  

শহরজুড়ে ছয়টি স্থানের আগুন এখনও জ্বলছে। যার সবকটিতেই আলাদা আলাদাভাবে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ এবং সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
 
আরও তীব্র বাতাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে যাতে দাবানল নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়েছে। এছাড়া আগুনের তীব্র পরিস্থিতি নির্দেশ করে লাল পতাকা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

কমপক্ষে ছয়টি জায়গায় এখনও আগুন জ্বলছে। শুক্রবার নতুন করে ‘আর্চার ফায়ার’ নামে গ্রানাডা পাহাড়ে শুরু হয়েছে এই আগুন যা এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। একটি বিমান ট্যাঙ্কার থেকে অগ্নিপ্রতিরোধক পদার্থ ফেলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন কর্মীরা।

এর আগে, প্যালিসেডস এর পূর্বের এলাকাগুলো থেকে বাধ্যতামূলক বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। সতর্কতার মধ্যে ব্রেন্টউড এবং এনসিনো শহরতলির বাসিন্দারা রয়েছেন।

এছাড়াও সতর্কতার আওতায় রয়েছে ক্যালাবাসাস এলাকা, যেখানে কার্দাশিয়ানরা বাস করেন।

 
 
মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের অদূরে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
১৫ বার পড়া হয়েছে

লস অ্যাঞ্জেলস/ দাবানল ধোঁয়া থেকে বাঁচতে বাসিন্দাদের ঘরে থাকার সতর্কতা

আপডেট সময় ১১:০২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

লস অ্যাঞ্জেলস/  দাবানল ধোঁয়া থেকে বাঁচতে বাসিন্দাদের ঘরে থাকার সতর্কতা।

 

কয়েকদিন ধরে ভয়ংকর দাবানলে পুড়ছে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহর। এরইমধ্যে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে ১০ হাজারের বেশি অবকাঠামো। আগুনের ছাই ও ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে পুরো শহর। বাতাস দূষিত হওয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেস কর্তৃপক্ষ স্থানীয় স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। খবর বিবিসির।

দাবানল শুরু হওয়ার কয়েকদিন পর ধোঁয়ার আশঙ্কায় লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার ঘোষণা আসছে।


ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর এই ঘটনার একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষ করে পানির অভাব এবং লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকার দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই ব্যাহত হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

দাবানলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্যালিসেডস এলাকার আগুন নিয়ন্ত্রণে এখনও কাজ করছেন ফায়ার কর্মীরা। সেখানকার আরও অনেক বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।  

শহরজুড়ে ছয়টি স্থানের আগুন এখনও জ্বলছে। যার সবকটিতেই আলাদা আলাদাভাবে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ এবং সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
 
আরও তীব্র বাতাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে যাতে দাবানল নতুন করে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়েছে। এছাড়া আগুনের তীব্র পরিস্থিতি নির্দেশ করে লাল পতাকা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

কমপক্ষে ছয়টি জায়গায় এখনও আগুন জ্বলছে। শুক্রবার নতুন করে ‘আর্চার ফায়ার’ নামে গ্রানাডা পাহাড়ে শুরু হয়েছে এই আগুন যা এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। একটি বিমান ট্যাঙ্কার থেকে অগ্নিপ্রতিরোধক পদার্থ ফেলে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন কর্মীরা।

এর আগে, প্যালিসেডস এর পূর্বের এলাকাগুলো থেকে বাধ্যতামূলক বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে। সতর্কতার মধ্যে ব্রেন্টউড এবং এনসিনো শহরতলির বাসিন্দারা রয়েছেন।

এছাড়াও সতর্কতার আওতায় রয়েছে ক্যালাবাসাস এলাকা, যেখানে কার্দাশিয়ানরা বাস করেন।

 
 
মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের অদূরে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।