ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার Logo পিকে হালদারের রেড নোটিশ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেবে দুদক Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে চালের দাম দায়ী: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Logo এখনও ভারতের সাড়া মেলেনি: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাঠানো চিঠির বিষয়ে ঢাকার অপেক্ষা Logo অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন পুলিশের সাত কর্মকর্তা

শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানালো ভারতীয় গণমাধ্যম

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানালো ভারতীয় গণমাধ্যম।

আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দিল্লিতে আছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও, সম্প্রতি দিল্লি থেকে তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ারও গুঞ্জন ওঠে। তবে শেখ হাসিনা দিল্লিতেই অবস্থান করছেন এবং সেখানকার কোন এলাকায় আছেন, তা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দ্য প্রিন্ট লিখেছে, নয়াদিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনের একটি বাড়িতে গত দুই মাস ধরে বসবাস করছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে ভারত সরকার।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুটিয়েন্স বাংলো এলাকায় ভারতের মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করা বাড়ির মতো একটিতে শেখ হাসিনাকে থাকতে দেয়া হয়েছে। যদিও তার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার স্বার্থে দ্য প্রিন্ট বাড়িটির প্রকৃত ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করেনি। 
 

একটি সূত্র দ্য প্রিন্টকে বলেছে,  

শেখ হাসিনার জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। তার নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক সাদা পোশাকে নিরাপত্তাকর্মীরা রয়েছেন। তিনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে এই পর্যায়ের নিরাপত্তা পাচ্ছেন।

 

 
শেখ হাসিনা দুই মাসের বেশি সময় ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে,  

সেখানে তার থাকার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। যথাযথ প্রটোকলসহ হাসিনা মাঝেমধ্যে পাশের লোধি গার্ডেনে হাঁটতে যান।

 

প্রতিবেদন মতে, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে আসার দুই দিনের মধ্যে হাসিনাকে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। কারণ সেখানে থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। পরে লুটিয়েন্স দিল্লির নিরাপদ ও সুরক্ষিত এলাকায় একটি বাড়িতে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। 
 
কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ওই এলাকায় ভারতের অনেক সাবেক ও বর্তমান এমপির বাড়ি রয়েছে বলে জানা যায়।
 
 
শেখ হাসিনা বাইরে বের হন কি না জানতে চাইলে সূত্রটি দ্য প্রিন্টকে জানায়, ‘বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের জানানো হয় এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়।’
 
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরমধ্যে সম্প্রতি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন জানিয়ে গত ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। কিন্তু আড়াই মাসের ব্যবধানে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বললেন তিনি। মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই।

তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়াও হয় বেশ কড়া। দাবি ওঠে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের। অন্তর্বর্তী সরকারও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি।
 
এদিকে জুলাই-আগস্টে আন্দোলনকারীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বহু মামলা হয়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
৯৯ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানালো ভারতীয় গণমাধ্যম

আপডেট সময় ০৮:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানালো ভারতীয় গণমাধ্যম।

আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দিল্লিতে আছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও, সম্প্রতি দিল্লি থেকে তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ারও গুঞ্জন ওঠে। তবে শেখ হাসিনা দিল্লিতেই অবস্থান করছেন এবং সেখানকার কোন এলাকায় আছেন, তা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দ্য প্রিন্ট লিখেছে, নয়াদিল্লির লুটিয়েন্স বাংলো জোনের একটি বাড়িতে গত দুই মাস ধরে বসবাস করছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে ভারত সরকার।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুটিয়েন্স বাংলো এলাকায় ভারতের মন্ত্রী, সিনিয়র এমপি ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দ করা বাড়ির মতো একটিতে শেখ হাসিনাকে থাকতে দেয়া হয়েছে। যদিও তার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার স্বার্থে দ্য প্রিন্ট বাড়িটির প্রকৃত ঠিকানা বা রাস্তার বিবরণ প্রকাশ করেনি। 
 

একটি সূত্র দ্য প্রিন্টকে বলেছে,  

শেখ হাসিনার জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। তার নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক সাদা পোশাকে নিরাপত্তাকর্মীরা রয়েছেন। তিনি একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে এই পর্যায়ের নিরাপত্তা পাচ্ছেন।

 

 
শেখ হাসিনা দুই মাসের বেশি সময় ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে,  

সেখানে তার থাকার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। যথাযথ প্রটোকলসহ হাসিনা মাঝেমধ্যে পাশের লোধি গার্ডেনে হাঁটতে যান।

 

প্রতিবেদন মতে, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতের গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে আসার দুই দিনের মধ্যে হাসিনাকে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। কারণ সেখানে থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। পরে লুটিয়েন্স দিল্লির নিরাপদ ও সুরক্ষিত এলাকায় একটি বাড়িতে তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়। 
 
কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ওই এলাকায় ভারতের অনেক সাবেক ও বর্তমান এমপির বাড়ি রয়েছে বলে জানা যায়।
 
 
শেখ হাসিনা বাইরে বের হন কি না জানতে চাইলে সূত্রটি দ্য প্রিন্টকে জানায়, ‘বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলে নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের জানানো হয় এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়।’
 
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এরমধ্যে সম্প্রতি শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন জানিয়ে গত ৫ আগস্ট রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। কিন্তু আড়াই মাসের ব্যবধানে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বললেন তিনি। মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই।

তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়াও হয় বেশ কড়া। দাবি ওঠে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের। অন্তর্বর্তী সরকারও বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি।
 
এদিকে জুলাই-আগস্টে আন্দোলনকারীদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বহু মামলা হয়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।