ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কায় আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন, চলছে ভোট গ্রহণ

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কায় আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন, চলছে ভোট গ্রহণ।

শ্রীলঙ্কায় পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে যে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করা হয়, আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) তার ভোট গ্রহণ চলছে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে নতুন বামপন্থি প্রেসিডেন্টকে আরও ক্ষমতা দেয়া হবে কি না তা এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে নির্ধারিত হবে।

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এর প্রায় দুই বছর পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জয়ী হন বামপন্থি অনুরা কুমারা দিশানায়েকে।

 

প্রেসিডেন্ট হিসেবেই দায়িত্ব নিয়েই অনুরা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করেন। এর প্রধান কারণ ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে তার নির্বাচনী জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) আসন ছিল মাত্র তিনটি। অর্থাৎ পার্লামেন্টে নিজের শক্তি বাড়াতেই আগাম নির্বাচন দেন তিনি।
 
 
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই নির্বাচন অনুরার জন্য একটা ‘পরীক্ষা’। পার্লামেন্টে তার জোটের আসন বাড়লে নিশ্চিতভাবেই তা তাকে আরও শক্তিশালী করবে। তখন তিনি অর্থনীতিসহ অন্যান্য নীতি বাস্তবায়নে গতি আনতে সক্ষম হবেন। আর ফলাফল আশানুরূপ না হলে তার সেই নীতিগুলো বাস্তবায়নে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে।
 
রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা বিকেল চারটায়। ভোট গ্রহণ শেষে শুরু হবে গণনা। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালের দিকে নির্বাচনের ফলাফল জানানো হতে পারে।
 
শ্রীলঙ্কায় ২০২০ সালের আগস্টে পাঁচ বছর মেয়াদে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা ২২৫। এর মধ্যে ১৯৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। বাকি ২৯টি ‘জাতীয়ভিত্তিক আসন’। এগুলো ১৯৬ আসনে প্রাপ্ত ভোটের হিস্যা অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়।
 
 
রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটের আগেই এই ২৯ আসনের প্রার্থীদের অগ্রাধিকারভিত্তিক নামের তালিকা দিতে হয়। তবে পরে এই তালিকায় নতুন নামও দেয়া যায়। এবারের নির্বাচনে ৮ হাজার ৮৮০ জনের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:২০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
২১ বার পড়া হয়েছে

শ্রীলঙ্কায় আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন, চলছে ভোট গ্রহণ

আপডেট সময় ০৫:২০:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

শ্রীলঙ্কায় আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন, চলছে ভোট গ্রহণ।

শ্রীলঙ্কায় পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে যে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করা হয়, আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) তার ভোট গ্রহণ চলছে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে নতুন বামপন্থি প্রেসিডেন্টকে আরও ক্ষমতা দেয়া হবে কি না তা এই নির্বাচনের মধ্যদিয়ে নির্ধারিত হবে।

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। এর প্রায় দুই বছর পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জয়ী হন বামপন্থি অনুরা কুমারা দিশানায়েকে।

 

প্রেসিডেন্ট হিসেবেই দায়িত্ব নিয়েই অনুরা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করেন। এর প্রধান কারণ ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে তার নির্বাচনী জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) আসন ছিল মাত্র তিনটি। অর্থাৎ পার্লামেন্টে নিজের শক্তি বাড়াতেই আগাম নির্বাচন দেন তিনি।
 
 
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই নির্বাচন অনুরার জন্য একটা ‘পরীক্ষা’। পার্লামেন্টে তার জোটের আসন বাড়লে নিশ্চিতভাবেই তা তাকে আরও শক্তিশালী করবে। তখন তিনি অর্থনীতিসহ অন্যান্য নীতি বাস্তবায়নে গতি আনতে সক্ষম হবেন। আর ফলাফল আশানুরূপ না হলে তার সেই নীতিগুলো বাস্তবায়নে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে।
 
রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা বিকেল চারটায়। ভোট গ্রহণ শেষে শুরু হবে গণনা। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালের দিকে নির্বাচনের ফলাফল জানানো হতে পারে।
 
শ্রীলঙ্কায় ২০২০ সালের আগস্টে পাঁচ বছর মেয়াদে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির পার্লামেন্টের আসন সংখ্যা ২২৫। এর মধ্যে ১৯৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। বাকি ২৯টি ‘জাতীয়ভিত্তিক আসন’। এগুলো ১৯৬ আসনে প্রাপ্ত ভোটের হিস্যা অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়।
 
 
রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটের আগেই এই ২৯ আসনের প্রার্থীদের অগ্রাধিকারভিত্তিক নামের তালিকা দিতে হয়। তবে পরে এই তালিকায় নতুন নামও দেয়া যায়। এবারের নির্বাচনে ৮ হাজার ৮৮০ জনের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখের বেশি।