ঢাকা ১১:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ হলে আরও সংকটে পড়বে দেশ

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ হলে আরও সংকটে পড়বে দেশ।

সংস্কার নিয়ে আলাপ-আলোচনা যত বেশি দীর্ঘায়িত হবে, দেশ তত বেশি সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, আমরা যদি সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করতে থাকি, তাহলে যে স্বৈরাচারকে দল-মত নির্বিশেষে সবাই বিতাড়িত করেছি-তারা সুযোগ পেয়ে যাবে। আবার দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসবে তারা। তাই যেসব বিজ্ঞ ও সম্মানিত ব্যক্তি সংস্কারের কথা বলছেন তারা দয়া করে এই আলাপ দীর্ঘায়িত করবেন না। রোববার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কারের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে সবার আগে নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমে যাদেরকে জনগণ দায়িত্ব দেবে তারাই সংস্কার কাজ শুরু করবেন। কারণ যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন তারা জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে, দেশ তথা দেশের মানুষকে তত দ্রুত বিপদ থেকে রক্ষা করা যাবে। যে সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে, যে সংস্কার প্রস্তাব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কমিশনগুলো তৈরি করে দিয়েছে যেটাই হোক না কেনো, সেই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন ছাড়া কোনো রাস্তা নাই। একটিই পথ নর্বাচন।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। এটা সবাইকে অনুধাবন করতে হবে। কোনো কোনো ব্যক্তি বলেন যে, নির্বাচন হলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? আমি বলি, সঙ্গে সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু নির্বাচন হলে জনগণের ভোটের মাধ্যমে, জনগণের রায়ের মাধ্যমে যে দল, যে ব্যক্তি বা যারা দেশ পরিচালনার সুযোগ পাবেন, তাদের মাধ্যমে সমস্যার গিট্টুগুলো আস্তে আস্তে খোলা যাবে।’ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন এই কর্মশালার মাধ্যমে আজকে আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে, দেশের মানুষ আমাদের সুযোগ দিলে প্রত্যেকে যে যার অবস্থান থেকে সংস্কারের ওয়াদা পূরণের চেষ্টা করব।’

 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শ্যামপুরের কদমতলীর বালুর মাঠে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়। এতে মহানগর দক্ষিণের ২৪টি থানার মূল দল বিএনপিসহ ১১টি অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। কর্মশালায় রাজধানীর যানজট, পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকজন নেতা-কর্মীর প্রশ্নের জবাবও দেন তারেক রহমান।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম, লিটন মাহমুদ, আব্দুস সাত্তার, কে সিকান্দার কাদিরসহ কদমতলী ও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:৩০:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১১ বার পড়া হয়েছে

সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ হলে আরও সংকটে পড়বে দেশ

আপডেট সময় ০৪:৩০:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ হলে আরও সংকটে পড়বে দেশ।

সংস্কার নিয়ে আলাপ-আলোচনা যত বেশি দীর্ঘায়িত হবে, দেশ তত বেশি সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, আমরা যদি সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করতে থাকি, তাহলে যে স্বৈরাচারকে দল-মত নির্বিশেষে সবাই বিতাড়িত করেছি-তারা সুযোগ পেয়ে যাবে। আবার দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসবে তারা। তাই যেসব বিজ্ঞ ও সম্মানিত ব্যক্তি সংস্কারের কথা বলছেন তারা দয়া করে এই আলাপ দীর্ঘায়িত করবেন না। রোববার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক কর্মশালায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কারের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে সবার আগে নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমে যাদেরকে জনগণ দায়িত্ব দেবে তারাই সংস্কার কাজ শুরু করবেন। কারণ যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন তারা জনগণের কাছে ওয়াদাবদ্ধ থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে, দেশ তথা দেশের মানুষকে তত দ্রুত বিপদ থেকে রক্ষা করা যাবে। যে সংস্কার প্রস্তাব বিএনপি দিয়েছে, যে সংস্কার প্রস্তাব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কমিশনগুলো তৈরি করে দিয়েছে যেটাই হোক না কেনো, সেই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে নির্বাচন ছাড়া কোনো রাস্তা নাই। একটিই পথ নর্বাচন।’

তারেক রহমান বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায়। এটা সবাইকে অনুধাবন করতে হবে। কোনো কোনো ব্যক্তি বলেন যে, নির্বাচন হলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? আমি বলি, সঙ্গে সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু নির্বাচন হলে জনগণের ভোটের মাধ্যমে, জনগণের রায়ের মাধ্যমে যে দল, যে ব্যক্তি বা যারা দেশ পরিচালনার সুযোগ পাবেন, তাদের মাধ্যমে সমস্যার গিট্টুগুলো আস্তে আস্তে খোলা যাবে।’ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসুন এই কর্মশালার মাধ্যমে আজকে আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে, দেশের মানুষ আমাদের সুযোগ দিলে প্রত্যেকে যে যার অবস্থান থেকে সংস্কারের ওয়াদা পূরণের চেষ্টা করব।’

 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে শ্যামপুরের কদমতলীর বালুর মাঠে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়। এতে মহানগর দক্ষিণের ২৪টি থানার মূল দল বিএনপিসহ ১১টি অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। কর্মশালায় রাজধানীর যানজট, পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকজন নেতা-কর্মীর প্রশ্নের জবাবও দেন তারেক রহমান।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম, লিটন মাহমুদ, আব্দুস সাত্তার, কে সিকান্দার কাদিরসহ কদমতলী ও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।