ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo গুলিবর্ষণে নতুন তথ্য: ওসমান হাদীর ওপর হামলায় ব্যবহৃত বাইকের চালক শনাক্তের দাবি দ্য ডিসেন্টের Logo আজ পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Logo পঞ্চগড়ে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, দুইটি ভাটা উচ্ছেদ Logo সরকার আন্তরিক হলে ২৪ ঘণ্টায় হামলাকারী গ্রেপ্তার সম্ভব: রুমিন ফারহানা Logo নির্বাচন সামনে রেখে সিইসি ও কমিশনারদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা চাইল ইসি Logo নোয়াখালী এক্সপ্রেসে অধিনায়কত্ব নিয়ে ধোঁয়াশা, সৌম্য সরকার প্রথম পছন্দ হলেও বিকল্প ভাবনায় দল Logo জিওস্টার চুক্তি নিয়ে জল্পনার অবসান, অবস্থান পরিষ্কার করলো আইসিসি Logo হাদির ওপর হামলার প্রভাব পড়বে না নির্বাচনে, নির্ধারিত সময়েই ভোট: ইসি সদস্য Logo জার্মানির এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থায় সাইবার হামলার পেছনে রাশিয়ার হাত থাকার অভিযোগ Logo মেসি উন্মাদনায় অস্থির যুবভারতী, বিশৃঙ্খলার মুখে ২০ মিনিটেই মাঠ ছাড়লেন মহাতারকা

সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ।

বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো রুশ জাহাজ উরসা মেজর ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এটি জানায় রয়টার্স। রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজটি ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণের কারণে ডুবে গেছে, তবে বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাহাজটি বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়।

রাশিয়ার পতাকাবাহী উরসা মেজর জাহাজটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাহাজটি মূল মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা “স্পার্টা-৩ এ” নামক জাহাজ, যেটি রং ও নাম বদলিয়ে নতুন নামে চলাচল করছে। এর পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ জাহাজটি ফেরত পাঠায়।

সেই সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানার পর জাহাজটিকে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে দেওয়া হবে না। রাশিয়া এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চিঠি মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। এরপর জাহাজটি ভারতে চলে যায়, যেখানে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করেছিল, কিন্তু দিল্লি থেকে অনুমতি না পাওয়ায় ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি জাহাজটি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায়।

উল্লেখ্য, উরসা মেজর নামের এই কার্গো জাহাজটি রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর ভ্লাদিভোস্তোক যাচ্ছিল। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, স্পেন ও আলজেরিয়ার মধ্যবর্তী সামুদ্রিক এলাকায় জাহাজটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় জাহাজের ১৬ ক্রুর মধ্যে ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের স্পেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এখনও দুজন ক্রু নিখোঁজ রয়েছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
৮৫ বার পড়া হয়েছে

সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ

আপডেট সময় ১০:৪৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সাগরে ডুবে গেল বাংলাদেশ থেকে ফেরা সেই রুশ জাহাজ।

বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো রুশ জাহাজ উরসা মেজর ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এটি জানায় রয়টার্স। রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজটি ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণের কারণে ডুবে গেছে, তবে বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাহাজটি বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়।

রাশিয়ার পতাকাবাহী উরসা মেজর জাহাজটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পণ্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাহাজটি মূল মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা “স্পার্টা-৩ এ” নামক জাহাজ, যেটি রং ও নাম বদলিয়ে নতুন নামে চলাচল করছে। এর পরই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ জাহাজটি ফেরত পাঠায়।

সেই সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানার পর জাহাজটিকে বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে দেওয়া হবে না। রাশিয়া এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক চিঠি মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। এরপর জাহাজটি ভারতে চলে যায়, যেখানে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পণ্য খালাসের জন্য অপেক্ষা করেছিল, কিন্তু দিল্লি থেকে অনুমতি না পাওয়ায় ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি জাহাজটি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায়।

উল্লেখ্য, উরসা মেজর নামের এই কার্গো জাহাজটি রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর ভ্লাদিভোস্তোক যাচ্ছিল। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, স্পেন ও আলজেরিয়ার মধ্যবর্তী সামুদ্রিক এলাকায় জাহাজটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় জাহাজের ১৬ ক্রুর মধ্যে ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের স্পেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এখনও দুজন ক্রু নিখোঁজ রয়েছেন।