ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সালমান ঘনিষ্ঠতাই কি কাল হলো বাবা সিদ্দিকির?

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি হত্যায় গ্রেফতার দুজন নিজেদের মুম্বাইয়ের লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি করেছেন। যদিও এখনো হত্যার দায় স্বীকার করেনি গ্যাংটি। এছাড়া পুলিশও তাদের দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। পুলিশের বরাতে এমন খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।

 

শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এসসিপি) নেতা এবং তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকি।

 

পুলিশের বরাতে প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকার নির্মল নগরে কোলগেট মাঠের কাছে ছেলে জিশান সিদ্দিকের অফিস থেকে বের হন বাবা সিদ্দিকি। গাড়িতে উঠতে যাবেন এমন সময়ে তাকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় লীলাবতী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
 
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এটিকে চুক্তিভিত্তিক হত্যা হিসেবে সন্দেহ করছে এবং তদন্তের জন্য চারটি বিশেষ দল গঠন করেছে।
 
পুলিশ জানায়, বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করার সঙ্গে তিন ব্যক্তি জড়িত। এরই মধ্যে হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ। তৃতীয় ব্যক্তি পালিয়ে গেছেন। গ্রেফতার দুজন গুরমেল সিং (২০) এবং ধরমরাজ কাশ্যপ (২০)।
 
 
সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দুজন দাবি করেছেন যে তারা প্রায় এক মাস ধরে গুলি করার জায়গাটি রেকি করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিন অভিযুক্ত শনিবার রাতে একটি অটোরিকশায় ঘটনাস্থলে আসে এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর গুলি চালায়।
 
বাবা সিদ্দিকি হত্যা মামলা দুই দৃষ্টিকোণ থেকে তদন্ত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। একটি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সাথে সম্পর্কিত এবং অন্যটি একটি বস্তি পুনর্বাসন মামলার সাথে জড়িত।
 
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহ করা হচ্ছে কারণ বাবা সিদ্দিকি বলিউড তারকা সালমান খানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সালমান খান এর আগে লরেন্স বিষ্ণোইর কাছ থেকে হুমকি পেয়েছিলেন।
 
 
সিদ্দিকির ঘনিষ্ঠ সূত্র এনডিটিভিকে জানায়, তিনি ১৫ দিন আগে হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন এবং তাকে ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল। তবে সিদ্দিকি বিষ্ণোই গ্যাং থেকে কোনো হুমকি পাওয়ার কথা পুলিশকে জানায়নি বলে জানা গেছে।
 
লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাটের একটি কারাগারে বন্দী আছেন। তবে তার গ্যাং প্রায়শই ব্যবসায়ীদের থেকে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ আছে। ১৯৯৮ সালে দুই  কৃষ্ণ হরিণ শিকার মামলার কারণে সালমান খানের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। কারণ, এই কৃষ্ণ হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় পবিত্র বলে মনে করে।
 
এর আগে বিষ্ণোইর ঘনিষ্ঠ সহযোগী রোহিত গোদারা বলেছিলেন, সালমান খানের যেকোনো বন্ধু তাদের শত্রু।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:০৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
১৮ বার পড়া হয়েছে

সালমান ঘনিষ্ঠতাই কি কাল হলো বাবা সিদ্দিকির?

আপডেট সময় ০৭:০৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি হত্যায় গ্রেফতার দুজন নিজেদের মুম্বাইয়ের লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি করেছেন। যদিও এখনো হত্যার দায় স্বীকার করেনি গ্যাংটি। এছাড়া পুলিশও তাদের দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। পুলিশের বরাতে এমন খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।

 

শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এসসিপি) নেতা এবং তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকি।

 

পুলিশের বরাতে প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকার নির্মল নগরে কোলগেট মাঠের কাছে ছেলে জিশান সিদ্দিকের অফিস থেকে বের হন বাবা সিদ্দিকি। গাড়িতে উঠতে যাবেন এমন সময়ে তাকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় লীলাবতী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
 
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এটিকে চুক্তিভিত্তিক হত্যা হিসেবে সন্দেহ করছে এবং তদন্তের জন্য চারটি বিশেষ দল গঠন করেছে।
 
পুলিশ জানায়, বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করার সঙ্গে তিন ব্যক্তি জড়িত। এরই মধ্যে হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে দুজনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ। তৃতীয় ব্যক্তি পালিয়ে গেছেন। গ্রেফতার দুজন গুরমেল সিং (২০) এবং ধরমরাজ কাশ্যপ (২০)।
 
 
সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দুজন দাবি করেছেন যে তারা প্রায় এক মাস ধরে গুলি করার জায়গাটি রেকি করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিন অভিযুক্ত শনিবার রাতে একটি অটোরিকশায় ঘটনাস্থলে আসে এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর গুলি চালায়।
 
বাবা সিদ্দিকি হত্যা মামলা দুই দৃষ্টিকোণ থেকে তদন্ত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। একটি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সাথে সম্পর্কিত এবং অন্যটি একটি বস্তি পুনর্বাসন মামলার সাথে জড়িত।
 
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহ করা হচ্ছে কারণ বাবা সিদ্দিকি বলিউড তারকা সালমান খানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সালমান খান এর আগে লরেন্স বিষ্ণোইর কাছ থেকে হুমকি পেয়েছিলেন।
 
 
সিদ্দিকির ঘনিষ্ঠ সূত্র এনডিটিভিকে জানায়, তিনি ১৫ দিন আগে হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন এবং তাকে ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল। তবে সিদ্দিকি বিষ্ণোই গ্যাং থেকে কোনো হুমকি পাওয়ার কথা পুলিশকে জানায়নি বলে জানা গেছে।
 
লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাটের একটি কারাগারে বন্দী আছেন। তবে তার গ্যাং প্রায়শই ব্যবসায়ীদের থেকে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ আছে। ১৯৯৮ সালে দুই  কৃষ্ণ হরিণ শিকার মামলার কারণে সালমান খানের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। কারণ, এই কৃষ্ণ হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় পবিত্র বলে মনে করে।
 
এর আগে বিষ্ণোইর ঘনিষ্ঠ সহযোগী রোহিত গোদারা বলেছিলেন, সালমান খানের যেকোনো বন্ধু তাদের শত্রু।