ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান

স্ত্রীর ধর্মান্তর প্রসঙ্গে ভ্যান্সের মন্তব্যে ভারতীয় মহলে নতুন বিতর্ক

নিজস্ব সংবাদ :

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের উত্তরে ভায়েস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানান, তার স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করতে পারেন—এমন আশা তিনি ব্যক্ত করেন।
এই মন্তব্য প্রকাশের পরই ভারত এবং প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মান্তর ইস্যু নিয়ে পুরোনো আলোচনা আবারও তীব্র হয়ে ওঠে।

ভ্যান্স অনুষ্ঠানে বলেন, উষা ভ্যান্স দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি হিন্দু পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তিনি নিজে ইভানজেলিকাল খ্রিষ্টান পরিবেশে বড় হলেও পরে, ২০১৯ সালে, ক্যাথলিক ধর্ম গ্রহণ করেন।
তার মন্তব্যকে অনেকেই সমালোচনা করে বলেছেন—ভ্যান্স কি স্ত্রীকে ধর্মান্তরের দিকে চাপ দিচ্ছেন?

তবে ভ্যান্স দাবি করেন, পরিস্থিতি আসলে উল্টো। তার কথায়, বহু বছর আগে উষাই তাকে নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে নতুন করে সংযুক্ত হতে উৎসাহ দিয়েছিলেন।

ইয়েল ল স্কুলে পড়ার সময় ভ্যান্স ও উষার পরিচয় হয় এবং ২০১৪ সালে তারা বিয়ে করেন। পরে ২০১৯ সালে ভ্যান্স ক্যাথলিক ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। প্রথম পরিচয়ের সময় তিনি নিজেকে নাস্তিক ভাবতেন বলেও উল্লেখ করেন।

অন্যদিকে, গত জুনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উষা স্পষ্টভাবে জানান—তিনি ক্যাথলিক নন এবং হওয়ার পরিকল্পনাও নেই।
তিনি বলেন, তাদের সন্তানরা যদিও ক্যাথলিক স্কুলে পড়ে, তবুও তার পরিবার তাদের হিন্দু ঐতিহ্য ও রীতিনীতি শিখিয়ে যাচ্ছে। শিশুদের নানী নিয়মিত মন্দিরে গিয়ে পূজা করেন বলেও জানান তিনি।

ধর্মান্তর নিয়ে ভ্যান্স বলেন, উষা ধর্ম পরিবর্তন না করলে কোনো সমস্যা নেই। তার ভাষায়, “ঈশ্বর প্রত্যেককে স্বাধীন ইচ্ছা ও নিজের বিবেক ব্যবহার করার অধিকার দিয়েছেন।”

মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকে পরিবার, ধর্ম ও ব্যক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে ভ্যান্সের দৃষ্টিভঙ্গি রক্ষণশীল ভোটারদের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
৩৬ বার পড়া হয়েছে

স্ত্রীর ধর্মান্তর প্রসঙ্গে ভ্যান্সের মন্তব্যে ভারতীয় মহলে নতুন বিতর্ক

আপডেট সময় ০৫:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের উত্তরে ভায়েস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানান, তার স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করতে পারেন—এমন আশা তিনি ব্যক্ত করেন।
এই মন্তব্য প্রকাশের পরই ভারত এবং প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মান্তর ইস্যু নিয়ে পুরোনো আলোচনা আবারও তীব্র হয়ে ওঠে।

ভ্যান্স অনুষ্ঠানে বলেন, উষা ভ্যান্স দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি হিন্দু পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। তিনি নিজে ইভানজেলিকাল খ্রিষ্টান পরিবেশে বড় হলেও পরে, ২০১৯ সালে, ক্যাথলিক ধর্ম গ্রহণ করেন।
তার মন্তব্যকে অনেকেই সমালোচনা করে বলেছেন—ভ্যান্স কি স্ত্রীকে ধর্মান্তরের দিকে চাপ দিচ্ছেন?

তবে ভ্যান্স দাবি করেন, পরিস্থিতি আসলে উল্টো। তার কথায়, বহু বছর আগে উষাই তাকে নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে নতুন করে সংযুক্ত হতে উৎসাহ দিয়েছিলেন।

ইয়েল ল স্কুলে পড়ার সময় ভ্যান্স ও উষার পরিচয় হয় এবং ২০১৪ সালে তারা বিয়ে করেন। পরে ২০১৯ সালে ভ্যান্স ক্যাথলিক ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। প্রথম পরিচয়ের সময় তিনি নিজেকে নাস্তিক ভাবতেন বলেও উল্লেখ করেন।

অন্যদিকে, গত জুনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উষা স্পষ্টভাবে জানান—তিনি ক্যাথলিক নন এবং হওয়ার পরিকল্পনাও নেই।
তিনি বলেন, তাদের সন্তানরা যদিও ক্যাথলিক স্কুলে পড়ে, তবুও তার পরিবার তাদের হিন্দু ঐতিহ্য ও রীতিনীতি শিখিয়ে যাচ্ছে। শিশুদের নানী নিয়মিত মন্দিরে গিয়ে পূজা করেন বলেও জানান তিনি।

ধর্মান্তর নিয়ে ভ্যান্স বলেন, উষা ধর্ম পরিবর্তন না করলে কোনো সমস্যা নেই। তার ভাষায়, “ঈশ্বর প্রত্যেককে স্বাধীন ইচ্ছা ও নিজের বিবেক ব্যবহার করার অধিকার দিয়েছেন।”

মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকে পরিবার, ধর্ম ও ব্যক্তিগত বিশ্বাস নিয়ে ভ্যান্সের দৃষ্টিভঙ্গি রক্ষণশীল ভোটারদের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।