ঢাকা ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo ইসরায়েলের জন্য নতুন সাবমেরিন রপ্তানিতে সম্মতি দিল জার্মানি Logo বিটকয়েনের মূল্য নতুন উচ্চতায়, ইথেরিয়াম-বাইন্যান্সেও উল্লম্ফন Logo সিলেটে অভিযানে ৫২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার Logo সিলেটের সাদা পাথর লুট: তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন Logo যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৩৫ কোটি টাকায় দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ কিনছে সরকার Logo পিকে হালদারের রেড নোটিশ আরও পাঁচ বছর বাড়াতে ইন্টারপোলকে চিঠি দেবে দুদক Logo বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান Logo জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পেছনে চালের দাম দায়ী: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর Logo এখনও ভারতের সাড়া মেলেনি: বাণিজ্য আলোচনার জন্য পাঠানো চিঠির বিষয়ে ঢাকার অপেক্ষা Logo অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন পুলিশের সাত কর্মকর্তা

হাজার কোটি টাকায় ২ লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

হাজার কোটি টাকায় ২ লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনবে সরকার।

দেশের কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য সিঙ্গাপুর, রাশিয়া, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার এবং সৌদি আরব থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯০০ কোটি ৮৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব সার ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়।


বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দেশটির সঙ্গে সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে রাশিয়া থেকে এই সার আমদানিতে সারের বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম পড়বে ২৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার।


কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা থেকে সপ্তম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে কানাডা থেকে এই সার আমদানিতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম পড়বে ২৮৯.৭৫ ডলার।
 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা থেকে অষ্টম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে কানাডা থেকে এই সার আমদানিতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম ধরা হয়েছে ২৮৯.৭৫ ডলার।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রথম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০ শতাংশ) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রথম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৫৮.৩৩ মার্কিন ডলার।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার এনার্জি মার্কেটিং থেকে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। কাতারের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি মিট্রিক টন ৩৫৮.৩৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।

সার আমদানির বাকি দুটি প্রস্তাবও শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হয়। এর মধ্যে একটি প্রস্তাবে সৌদি আরব থেকে অষ্টম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন ৩৬৫ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এছাড়া সৌদি আরব থেকে নবম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির আরেকটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন ৩৫৮.৩৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
৭৯ বার পড়া হয়েছে

হাজার কোটি টাকায় ২ লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

আপডেট সময় ০৬:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

হাজার কোটি টাকায় ২ লাখ ৩০ হাজার টন সার কিনবে সরকার।

দেশের কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য সিঙ্গাপুর, রাশিয়া, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার এবং সৌদি আরব থেকে ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯০০ কোটি ৮৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব সার ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়।


বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে চতুর্থ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। দেশটির সঙ্গে সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে রাশিয়া থেকে এই সার আমদানিতে সারের বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম পড়বে ২৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার।


কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা থেকে সপ্তম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে কানাডা থেকে এই সার আমদানিতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম পড়বে ২৮৯.৭৫ ডলার।
 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা থেকে অষ্টম লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে কানাডা থেকে এই সার আমদানিতে বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ব্যয় হবে ১ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন এমওপি সারের দাম ধরা হয়েছে ২৮৯.৭৫ ডলার।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে প্রথম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন (১০ শতাংশ) বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রথম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৫৮.৩৩ মার্কিন ডলার।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার এনার্জি মার্কেটিং থেকে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। কাতারের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক সারের মূল্য নির্ধারণ করে প্রতি মিট্রিক টন ৩৫৮.৩৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।

সার আমদানির বাকি দুটি প্রস্তাবও শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া হয়। এর মধ্যে একটি প্রস্তাবে সৌদি আরব থেকে অষ্টম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন ৩৬৫ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এছাড়া সৌদি আরব থেকে নবম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির আরেকটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন ৩৫৮.৩৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া আমদানিতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।