ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারতীয় দল প্রকাশ, জায়গা হয়নি শুভমান গিলের, ফিরেছেন ঈশান কিষাণ Logo শহীদ হাদির স্মরণে জার্সি উৎসর্গ করবে রাজশাহী Logo ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: আপিল সংক্রান্ত সময়সূচিতে পরিবর্তন আনল ইসি Logo দুর্নীতির দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছরের সাজা Logo জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শরীফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহে যুবক হত্যাকাণ্ড ও মরদেহে আগুন দেয়ার চেষ্টা: র‍্যাবের হাতে ৭ জন Logo শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় মানুষের ঢল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জনসমুদ্র Logo মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের স্রোত, পূর্ণ জনসমাবেশ Logo মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পৌঁছেছে হাদির Logo ঢাকায় ১৫ দিনের সফর শেষে লন্ডনে ফিরলেন ডা. জুবাইদা রহমান

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরের উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব সংবাদ :

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষিত হওয়ার পর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (OHCHR) আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়। সোমবার (১৭ নভেম্বর) জেনেভা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটির মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এ প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় ঘোষণা করেছে। গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় যেসব ব্যক্তি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই OHCHR বারবার বলেছে— আদেশ প্রদানকারী বা নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকা ব্যক্তিদেরও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীরা যেন ন্যায্য প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণের সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

শামদাসানি জানান, এই নির্দিষ্ট মামলার বিচারকার্য তারা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেননি। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ সংক্রান্ত বিচারপ্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক মানদণ্ড যথাযথভাবে অনুসরণের ওপর তারা বরাবরই জোর দিয়ে আসছেন। বিশেষ করে দণ্ডপ্রাপ্তরা অনুপস্থিত থাকায় বিচার অনুষ্ঠিত হওয়া এবং তাতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া—এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মান মেনে চলা আরও বেশি জরুরি।

তিনি আরও বলেন, সংস্থাটি সবসময় মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে, এবং এ মামলাতেও দুঃখের সঙ্গে সেই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

রায়ের পর উত্তেজনা এড়াতে সব পক্ষকে সংযত আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে শামদাসানি বলেন, মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক আশা প্রকাশ করেছেন যে বাংলাদেশ সত্য উদ্ঘাটন, ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায়বিচারকে কেন্দ্র করে একটি সমন্বিত প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হবে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা খাতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডসম্মত, অর্থবহ ও রূপান্তরমূলক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি উল্লেখ করেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন লঙ্ঘন পুনরায় না ঘটে। এ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে সহায়তা করতে হাইকমিশনারের কার্যালয় প্রস্তুত বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:০৭:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
৫৭ বার পড়া হয়েছে

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরের উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়া

আপডেট সময় ০৭:০৭:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষিত হওয়ার পর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (OHCHR) আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়। সোমবার (১৭ নভেম্বর) জেনেভা থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটির মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এ প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় ঘোষণা করেছে। গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় যেসব ব্যক্তি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই OHCHR বারবার বলেছে— আদেশ প্রদানকারী বা নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকা ব্যক্তিদেরও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীরা যেন ন্যায্য প্রতিকার ও ক্ষতিপূরণের সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

শামদাসানি জানান, এই নির্দিষ্ট মামলার বিচারকার্য তারা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেননি। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ সংক্রান্ত বিচারপ্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক মানদণ্ড যথাযথভাবে অনুসরণের ওপর তারা বরাবরই জোর দিয়ে আসছেন। বিশেষ করে দণ্ডপ্রাপ্তরা অনুপস্থিত থাকায় বিচার অনুষ্ঠিত হওয়া এবং তাতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া—এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মান মেনে চলা আরও বেশি জরুরি।

তিনি আরও বলেন, সংস্থাটি সবসময় মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে, এবং এ মামলাতেও দুঃখের সঙ্গে সেই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

রায়ের পর উত্তেজনা এড়াতে সব পক্ষকে সংযত আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে শামদাসানি বলেন, মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক আশা প্রকাশ করেছেন যে বাংলাদেশ সত্য উদ্ঘাটন, ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায়বিচারকে কেন্দ্র করে একটি সমন্বিত প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হবে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা খাতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডসম্মত, অর্থবহ ও রূপান্তরমূলক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি উল্লেখ করেন, যাতে ভবিষ্যতে এমন লঙ্ঘন পুনরায় না ঘটে। এ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে সহায়তা করতে হাইকমিশনারের কার্যালয় প্রস্তুত বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।