ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo বিমান টিকিট জটিলতা নিরসনে জোর পদক্ষেপ চলছে: বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা Logo একযোগে ৯৬ সহকারী ও সিনিয়র জজের বদলি আদেশ Logo দেশের সাত জেলায় নতুন এসপি, ছয় কর্মকর্তার বদলি Logo নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন: তদন্ত প্রতিবেদন জমার শেষ সময় ৩১ আগস্ট Logo জুলাই গণহত্যা মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি আটক Logo নরওয়ের পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা Logo আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান ভারতের সীমানা থেকে গ্রেফতার Logo শিকাগোতে সেনা মোতায়েনের চিন্তায় ট্রাম্প প্রশাসন Logo মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান বদলি, দায়িত্ব নিচ্ছেন গোয়েন্দা বিভাগে Logo রিজভী: অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হলে নির্বাচন হবে ঝুঁকিপূর্

হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে-র ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ইরান

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে-র ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ইরান।

মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটার মালিকানাধীন বার্তা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে-র ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশটির সুপ্রিম কাউন্সিল অফ সাইবারস্পেস বিদেশি অ্যাপগুলোর ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার বিষয়ে মত দেন।

ইরানি সংবাদ সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা। প্রতিবেদন মতে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর পরে ইরানে বড় বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে নিষিদ্ধ করে ইরানি কর্তৃপক্ষ।

 

আল জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কাউন্সিল অব সাইবারস্পেস-এর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 
 
ওই বৈঠকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় সবাই হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে-র ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা ওঠিয়ে নেয়ার বিষয়ে একমত হন।
 
 
গত জুলাই মাসে পেজেশকিয়ান ক্ষমতা গ্রহণের পর দীর্ঘদিন থেকে চলমান ইন্টারনেটের ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করার প্রতিশ্রুতি দেন। বৈঠকের পরে দেশটির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী সাত্তার হাশেমি এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় বলেন, ‘আজ আমরা ঐক্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে ইন্টারনেটের ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি।’
 
ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল ইরান। 
 
কিন্তু এতেও ইরানে হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি। সরকারবিরোধীরা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে অনায়াসেই এসব ব্যবহার করতেন।
 
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
৭০ বার পড়া হয়েছে

হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে-র ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ইরান

আপডেট সময় ১১:০৬:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে-র ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ইরান।

মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটার মালিকানাধীন বার্তা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে-র ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশটির সুপ্রিম কাউন্সিল অফ সাইবারস্পেস বিদেশি অ্যাপগুলোর ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার বিষয়ে মত দেন।

ইরানি সংবাদ সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা। প্রতিবেদন মতে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুর পরে ইরানে বড় বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই সময় হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে নিষিদ্ধ করে ইরানি কর্তৃপক্ষ।

 

আল জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কাউন্সিল অব সাইবারস্পেস-এর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 
 
ওই বৈঠকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় সবাই হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে-র ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা ওঠিয়ে নেয়ার বিষয়ে একমত হন।
 
 
গত জুলাই মাসে পেজেশকিয়ান ক্ষমতা গ্রহণের পর দীর্ঘদিন থেকে চলমান ইন্টারনেটের ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করার প্রতিশ্রুতি দেন। বৈঠকের পরে দেশটির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী সাত্তার হাশেমি এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় বলেন, ‘আজ আমরা ঐক্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে ইন্টারনেটের ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি।’
 
ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটেই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল ইরান। 
 
কিন্তু এতেও ইরানে হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করা যায়নি। সরকারবিরোধীরা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে অনায়াসেই এসব ব্যবহার করতেন।