ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোটের একটি ঘোষণার পর সিরিয়ায় ফরাসি বিশেষ দূত জিন-ফ্রাঙ্কোয়েস গুইলাম এবং একটি প্রতিনিধিদল দামেস্কে যান।
প্রতিনিধি দলটি প্রথমে দূতাবাসে অবস্থান নেন। এরপর গেট খুলে ত্রিবর্ণ ফরাসি পতাকা উত্তোলন করেন।
তবে ফ্রান্স বলেছে, তাদের পতাকা উত্তোলনের অর্থ এই নয় যে তাদের দূতাবাস এখনই আবার খোলা হচ্ছে।
গুইলাম জানিয়েছেন, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দূবাতাস খোলার সঠিক তারিখ দিতে পারবেন না; যতক্ষণ না নিরাপত্তার মানদণ্ড পূরণ হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ফ্রান্স জানিয়েছে, ‘সিরিয়ায় একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক উত্তরণ ঘটবে বলে ফ্রান্স আশা করে; যেখানে সমাজের সমস্ত উপাদানের প্রতিনিধিত্ব থাকবে এবং সমস্ত সিরিয়াবাসীর অধিকারকে সম্মান করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাজনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানের মাধ্যমে সিরীয়দের পুনর্মিলন ও পুনর্গঠনের পথ খুঁজে পেতে ফ্রান্স তার অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাবে।
বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ধীরে ধীরে হায়াত তাহরির আল-শাম এবং এর নেতা আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে দামেস্কের নতুন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও তারা গোষ্ঠীটিকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
ফ্রান্স ও ব্রিটেনের পাশাপাশি জার্মানিও সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের সাথে বৈঠকের পরিকল্পনা করছে। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নও জানিয়েছে, তারা বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে।