বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, জানালেন মির্জা ফখরুল
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে রাজনীতির অঙ্গনে সর্বশেষ প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। এরপর অসুস্থতা ও আইনি জটিলতার কারণে তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবারও আলোচনায় আসেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
ঘোষিত অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—খালেদা জিয়া এবার ভোটে অংশ নেবেন কি না।
এ বিষয়ে সময় সংবাদকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “তিনি নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, তা নির্ভর করবে তার স্বাস্থ্যের ওপর। যদি শারীরিকভাবে সক্ষম হন, নিশ্চয়ই অংশ নেবেন। আর না হলে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে ২০১৮ সাল থেকেই দলের নেতৃত্বে আছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি যদি নির্বাচনে জয়ী হয়, তখন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন—এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুলের উত্তর, “দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যদি নির্বাচন করতে পারেন এবং নিজেকে উপযুক্ত মনে করেন, তাহলে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন—এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই।”
এছাড়া আসন্ন নির্বাচনের ইশতেহার সম্পর্কেও কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি জানান, “আমরা ইতিমধ্যে ইশতেহার প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি। এর মধ্যে ৩১ দফা মূল কাঠামো থাকবে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা এবং দুর্বল অর্থনীতিকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনা—এ দুটোই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বা পরে নয়, কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান হলে শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।



















