ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাতকে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে প্রবাসী বোনের মাদরাসায় লুটপাট ও দখলচেষ্টার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের ছাতকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বোনের স্থাপিত মাদরাসায় ঢুকে লুটপাট ও ভাঙচুর করা এবং জবরদখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রবাসী বোন যুক্তরাজ্য থেকে সম্প্রতি সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে ই-মেইলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারী দিলারা বেগম ঝর্ণা (৫০) ছাতকের সুহিতপুর গ্রামের মৃত ইলিয়াস আলীর মেয়ে।

লিখিত অভিযোগে দিলারা উল্লেখ করেন- সুহিতপুরে তাঁর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ও ক্রয়কৃত মোট ১৮ শতক জমির উপর ‘হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) হাফিজিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা ও এতিমখানা’ নামে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। মাদরাসা পরিচালনার স্বার্থে তিনি মাদরাসা ভবনে ৬টি ইউনিট ও ৪টি দোকানকোঠা করে ভাড়া দিয়েছেন। এসবের ভাড়াবাবদ পাওয়া টাকায় মাদরাসা পরিচালনার ব্যয় সংকুলান না হওয়ায় দিলারা ব্যক্তিগতভাবেও প্রতি মাসে এ মাদরাসায় আর্থিক সহযোগিতা করেন। কিন্তু সম্প্রতি এ মাদরাসা ও মাদরাসার জমি এবং স্থাপনার ভাড়ার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে তাঁর আপন দুই ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মো. আওলাদ আলী রেজা (৫৫) ও ইউসুফ আলী মোহনের (৬০)। এরই জের ধরে গত ১৮ আগস্ট রাতে এই দুজন ও ইউসুফ আলীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা এমদাদ (৩০) তাদের সহযোগী ৮-১০ জনকে নিয়ে মাদরাসায় ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এসময় মাদারাসায় অবস্থানরত ছাত্র-শিক্ষকদের হুমকিও দিয়ে আসেন হামলাকারীরা।

পরে আগস্ট মাসের ভাড়াবাবদ ৫৭ হাজার টাকা ভাড়াটেদের কাছ থেকে জোরপূর্বক নিয়ে আসেন অভিযুক্তরা।

এ অবস্থায় মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের নিরাপত্তা-শঙ্কায় রয়েছেন দিলারা বেগম। তাই আওয়ামী লীগ নেতা মো. আওলাদ আলী রেজা ও ইউসুফ আলী মোহন এবং ছাত্রলীগ নেতা এমদাদকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসী নারী।

লিখিত অভিযোগ পেয়ে ছাতক থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে ছাতক থানার এস.আই আব্দুস সাত্তার বলেন- অভিযোগ পেয়ে ছাতক থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে পরে জানতে পেরেছি- বিষয়টি ভাই-বোনদের মাঝে মিটমাট হয়ে গেছে এবং ওই প্রবাসী নারী অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তবে প্রবাসী দিলারা বেগম ঝর্ণা বলেন- মিটমাটের কথা সত্যি নয়। অভিযুক্তরা আবারও মাদরাসায় হামলা বা দখলচেষ্টা করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:১৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
২০ বার পড়া হয়েছে

ছাতকে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে প্রবাসী বোনের মাদরাসায় লুটপাট ও দখলচেষ্টার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৬:১৪:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

সুনামগঞ্জের ছাতকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বোনের স্থাপিত মাদরাসায় ঢুকে লুটপাট ও ভাঙচুর করা এবং জবরদখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আপন দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রবাসী বোন যুক্তরাজ্য থেকে সম্প্রতি সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে ই-মেইলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগকারী দিলারা বেগম ঝর্ণা (৫০) ছাতকের সুহিতপুর গ্রামের মৃত ইলিয়াস আলীর মেয়ে।

লিখিত অভিযোগে দিলারা উল্লেখ করেন- সুহিতপুরে তাঁর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ও ক্রয়কৃত মোট ১৮ শতক জমির উপর ‘হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) হাফিজিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসা ও এতিমখানা’ নামে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। মাদরাসা পরিচালনার স্বার্থে তিনি মাদরাসা ভবনে ৬টি ইউনিট ও ৪টি দোকানকোঠা করে ভাড়া দিয়েছেন। এসবের ভাড়াবাবদ পাওয়া টাকায় মাদরাসা পরিচালনার ব্যয় সংকুলান না হওয়ায় দিলারা ব্যক্তিগতভাবেও প্রতি মাসে এ মাদরাসায় আর্থিক সহযোগিতা করেন। কিন্তু সম্প্রতি এ মাদরাসা ও মাদরাসার জমি এবং স্থাপনার ভাড়ার উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে তাঁর আপন দুই ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মো. আওলাদ আলী রেজা (৫৫) ও ইউসুফ আলী মোহনের (৬০)। এরই জের ধরে গত ১৮ আগস্ট রাতে এই দুজন ও ইউসুফ আলীর ছেলে ছাত্রলীগ নেতা এমদাদ (৩০) তাদের সহযোগী ৮-১০ জনকে নিয়ে মাদরাসায় ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। এসময় মাদারাসায় অবস্থানরত ছাত্র-শিক্ষকদের হুমকিও দিয়ে আসেন হামলাকারীরা।

পরে আগস্ট মাসের ভাড়াবাবদ ৫৭ হাজার টাকা ভাড়াটেদের কাছ থেকে জোরপূর্বক নিয়ে আসেন অভিযুক্তরা।

এ অবস্থায় মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের নিরাপত্তা-শঙ্কায় রয়েছেন দিলারা বেগম। তাই আওয়ামী লীগ নেতা মো. আওলাদ আলী রেজা ও ইউসুফ আলী মোহন এবং ছাত্রলীগ নেতা এমদাদকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রবাসী নারী।

লিখিত অভিযোগ পেয়ে ছাতক থানাপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে ছাতক থানার এস.আই আব্দুস সাত্তার বলেন- অভিযোগ পেয়ে ছাতক থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে পরে জানতে পেরেছি- বিষয়টি ভাই-বোনদের মাঝে মিটমাট হয়ে গেছে এবং ওই প্রবাসী নারী অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তবে প্রবাসী দিলারা বেগম ঝর্ণা বলেন- মিটমাটের কথা সত্যি নয়। অভিযুক্তরা আবারও মাদরাসায় হামলা বা দখলচেষ্টা করতে পারে।