শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জেলায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থান–সম্পর্কিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায়কে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে। রায় ঘোষণার পরপরই একাধিক জেলায় আনন্দ মিছিল, সমাবেশ এবং মিষ্টি বিতরণের আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীরা রায়ের খবর পাবার সঙ্গে সঙ্গে পূর্বাচলের সমু মার্কেট এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করেন। এলাকাজুড়ে প্রদক্ষিণ করা এ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেন, সর্বোচ্চ শাস্তির রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে দিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
সিলেটে রায় ঘোষণার কয়েক মিনিটের মধ্যেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন দল-মতের মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন। এনপিপি নেতাকর্মীরাও সেখানে মিষ্টি বিতরণ করেন। তারা জানান, রায়ের প্রাথমিক ধাপে তারা সন্তুষ্ট। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকরের দাবি তোলেন। তাদের মতে, শাস্তি কার্যকর হলেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।
পটুয়াখালীতেও বিএনপি নেতাকর্মীরা রায় উদ্যাপনে ঝাউতলা হৃদয় তরুয়া চত্বর থেকে মিছিল বের করেন। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলেন, এ রায় জনগণের বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছে।
ফেনীতে জুলাই যোদ্ধা ও জামায়াতে ইসলামী আলাদা আলাদা আনন্দ মিছিল করেন। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা জানান, শুধু রায় ঘোষণা নয়, পলাতক আসামিদের আটক করে দ্রুত শাস্তি কার্যকর করাই এখন মূল দাবি। ফেনীতে ছাত্র-জনতা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারও তারা নিশ্চিত করতে চান।
লক্ষ্মীপুরেও জুলাই যোদ্ধারা মিষ্টি বিতরণ করে রায়ের প্রতি সমর্থন জানান। তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার ওপর জোর দেন।
রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলামসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল করেন। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিমোহনী এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
জয়পুরহাটেও জেলা বিএনপি দুপুরে স্টেশন রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে থাকা সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জুলাই শহীদ পরিবারের জন্য বরাদ্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।


























