ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নয়, সংস্কারের রোডম্যাপ প্রকাশসহ ৭ দাবি ‘রক্তিম জুলাই ২৪’র

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

নির্বাচন নয়, সংস্কারের রোডম্যাপ প্রকাশসহ ৭ দাবি ‘রক্তিম জুলাই ২৪’র।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতের তালিকা করে দ্রুত চিকিৎসা দেয়া ও শহীদদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে মাফিয়াতন্ত্র বহাল রাখতে নির্বাচন না দেয়াসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন ‘রক্তিম জুলাই ২৪’ সংগঠনের নেতারা।

মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ‘রক্তিম জুলাই ২৪’র নেতারা।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে জুলাই আন্দোলনে আহত ও নিহতদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘রক্তিম জুলাই ২৪’-এর নেতারা এসব দাবি তুলে ধরেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আহত ও নিহতদের এখনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়নি। সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি আহতদের।
 
এ পরিস্থিতিতে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করাসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

 

দাবিগুলো হলো:

 

১. জুলাইয়ের বিপ্লবে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নির্ভুল ও সম্পূর্ণ তালিকা রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে শিগগিরই গেজেট করে প্রকাশ করতে হবে। শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও পদবি দিতে হবে।
 
২. সরকারকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা অর্থপেডিক, ফিজিওথেরাপি, চক্ষু, নিউরোলজি, জেনারেল সার্জারি, মেডিসিন-বিভাগের সমন্বয় করে দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করতে হবে। পাশাপাশি সংকটাপন্ন আহতদের তালিকা করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে।
 
৩. আহতদের এবং শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান, ক্ষতিপূরণ বিষয়ে সরকারকে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সব কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।
 
৪. অনতিবিলম্বে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ ও ফ্যাসিস্ট সংবিধান বিলুপ্ত ঘোষণা করে জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে প্রজাতন্ত্রের নতুন গঠনতন্ত্র প্রস্তুত করতে হবে।
 
৫. শহীদদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে মাফিয়াতন্ত্র বহাল রাখার জন্য কোনো নির্বাচন নয়। অতিদ্রুত রাজনৈতিক অংশীজনদের ঐক্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্র সংস্কারের রোডম্যাপ জনগণের সামনে তুলে ধরে কার্যকর জনক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করতে হবে।
 
৬. দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অতিদ্রুত উন্নয়ন ঘটিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ ও বিচার বিভাগসহ সব বিভাগে সার্বিক সংস্কার করতে হবে।
 
৭. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদায়ন কার্যপ্রণালি বাস্তবায়ন করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ভূতদের প্রশাসন থেকে বিতাড়িত করতে হবে। ন্যায়বিচারের পূর্বে আওয়ামী পুনর্বাসন নয়।
 
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারা দেশে অন্তত ২০ হাজার মানুষ আহত হন। নিহতের সংখ্যা হাজারের বেশি। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন আহত ও নিহতদের নিয়ে কাজ করছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
৯ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচন নয়, সংস্কারের রোডম্যাপ প্রকাশসহ ৭ দাবি ‘রক্তিম জুলাই ২৪’র

আপডেট সময় ০৩:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

নির্বাচন নয়, সংস্কারের রোডম্যাপ প্রকাশসহ ৭ দাবি ‘রক্তিম জুলাই ২৪’র।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতের তালিকা করে দ্রুত চিকিৎসা দেয়া ও শহীদদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে মাফিয়াতন্ত্র বহাল রাখতে নির্বাচন না দেয়াসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন ‘রক্তিম জুলাই ২৪’ সংগঠনের নেতারা।

মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ‘রক্তিম জুলাই ২৪’র নেতারা।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে জুলাই আন্দোলনে আহত ও নিহতদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘রক্তিম জুলাই ২৪’-এর নেতারা এসব দাবি তুলে ধরেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আহত ও নিহতদের এখনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়নি। সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি আহতদের।
 
এ পরিস্থিতিতে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করাসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

 

দাবিগুলো হলো:

 

১. জুলাইয়ের বিপ্লবে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নির্ভুল ও সম্পূর্ণ তালিকা রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে শিগগিরই গেজেট করে প্রকাশ করতে হবে। শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও পদবি দিতে হবে।
 
২. সরকারকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা অর্থপেডিক, ফিজিওথেরাপি, চক্ষু, নিউরোলজি, জেনারেল সার্জারি, মেডিসিন-বিভাগের সমন্বয় করে দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করতে হবে। পাশাপাশি সংকটাপন্ন আহতদের তালিকা করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে।
 
৩. আহতদের এবং শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান, ক্ষতিপূরণ বিষয়ে সরকারকে আগামী নভেম্বরের মধ্যে সব কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।
 
৪. অনতিবিলম্বে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ ও ফ্যাসিস্ট সংবিধান বিলুপ্ত ঘোষণা করে জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে প্রজাতন্ত্রের নতুন গঠনতন্ত্র প্রস্তুত করতে হবে।
 
৫. শহীদদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে মাফিয়াতন্ত্র বহাল রাখার জন্য কোনো নির্বাচন নয়। অতিদ্রুত রাজনৈতিক অংশীজনদের ঐক্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্র সংস্কারের রোডম্যাপ জনগণের সামনে তুলে ধরে কার্যকর জনক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করতে হবে।
 
৬. দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অতিদ্রুত উন্নয়ন ঘটিয়ে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ ও বিচার বিভাগসহ সব বিভাগে সার্বিক সংস্কার করতে হবে।
 
৭. স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদায়ন কার্যপ্রণালি বাস্তবায়ন করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ভূতদের প্রশাসন থেকে বিতাড়িত করতে হবে। ন্যায়বিচারের পূর্বে আওয়ামী পুনর্বাসন নয়।
 
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারা দেশে অন্তত ২০ হাজার মানুষ আহত হন। নিহতের সংখ্যা হাজারের বেশি। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন আহত ও নিহতদের নিয়ে কাজ করছে।