ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo যাত্রা শুরু করলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ Logo নতুন সুইসাইড ড্রোন ‘শাহেদ-১০৭’ উন্মোচন করলো ইরান Logo জরুরি ভিত্তিতে তেহরান খালি করতে হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প Logo মধ্যপ্রাচ্যে আরও সেনা মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র Logo ইরান-ইসরায়েলে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প: ম্যাকরন Logo শেখ হাসিনা-কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি ট্রাইব্যুনালের Logo ‘মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত’ ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্র, দাবি‘আইএইএ ‘ প্রধানের Logo ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা Logo শেখ হাসিনা-কামালকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ Logo বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কমেছে, অর্থায়নে বেড়েছে অভ্যন্তরীণ উৎস নির্ভরতা

স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন।

মুন্সীগঞ্জে গলার স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু তকির হোসেনকে হত্যার ঘটনায় ৫ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে এই রায় দেন মুন্সীগঞ্জের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মোহাম্মদ আলমগীর।


ঘটনার ১৪ বছর এই রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা। তবে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি রবিউল্লাহ ও হান্নান মিয়াকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।


আদালতে উপস্থিত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি আবুল হোসেন, ময়না মিয়া ও আনোয়ার হোসেন রায় শুনে মুষড়ে পড়েন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ফুলতলা এলাকায় দশ বছরের শিশু তকিরকে বাড়িতে রেখে তার বাবা-মা মুন্সীগঞ্জ শহরের মার্কেটে যায়। পরে বিকাল ৪ টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে তকিরকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে।

কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘটনার পরের দিন ১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ করেন তকিরের মা ঝর্ণা বেগম।

এদিকে ঘটনার তিন দিন পর ২ সেপ্টেম্বর বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে শিশু তকিরের মরদেহের সন্ধান মিলে।

ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর পাশের এলাকার চিহ্নিত চোর রবিউল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে একে একে এই ঘটনায় জড়িত আরও ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
রিমান্ডে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিতে তকিরকে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ করে হত্যা করা হয় বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করে আসামিরা।

আদালতটির সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পল্টু জানান, দীর্ঘ  বিচারকার্য শেষে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দেন।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
৬৯ বার পড়া হয়েছে

স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৭:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন।

মুন্সীগঞ্জে গলার স্বর্ণের চেইনের জন্য শিশু তকির হোসেনকে হত্যার ঘটনায় ৫ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে এই রায় দেন মুন্সীগঞ্জের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. মোহাম্মদ আলমগীর।


ঘটনার ১৪ বছর এই রায় পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বজনরা। তবে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি রবিউল্লাহ ও হান্নান মিয়াকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।


আদালতে উপস্থিত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি আবুল হোসেন, ময়না মিয়া ও আনোয়ার হোসেন রায় শুনে মুষড়ে পড়েন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ফুলতলা এলাকায় দশ বছরের শিশু তকিরকে বাড়িতে রেখে তার বাবা-মা মুন্সীগঞ্জ শহরের মার্কেটে যায়। পরে বিকাল ৪ টার দিকে বাড়িতে ফিরে এসে তকিরকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে।

কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘটনার পরের দিন ১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ করেন তকিরের মা ঝর্ণা বেগম।

এদিকে ঘটনার তিন দিন পর ২ সেপ্টেম্বর বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে শিশু তকিরের মরদেহের সন্ধান মিলে।

ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর পাশের এলাকার চিহ্নিত চোর রবিউল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে একে একে এই ঘটনায় জড়িত আরও ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
রিমান্ডে গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিতে তকিরকে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ করে হত্যা করা হয় বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করে আসামিরা।

আদালতটির সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পল্টু জানান, দীর্ঘ  বিচারকার্য শেষে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় দেন।