২০১৯ এ শুরু হয় আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। এর আগের দুই কিস্তির ফাইনালে খেলেছে ভারত, কিন্তু একবারও শিরোপা জিততে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের আগেও এক ফাইনালিস্ট হিসেবে ধরা হচ্ছিল ভারতকেই। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ, ভারতের সমীকরণ কঠিন করে দেয়ার সঙ্গে সুযোগ করে দিয়েছে অন্য দলগুলোরও।
ঘরের মাঠে কিউইদের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধারে হারের পর, ডব্লিউটিসি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানও হারিয়েছে মেন ইন ব্লু।
নিউজিল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে পারলে, অস্ট্রেলিয়া সফরটা কিছুটা নির্ভার হয়ে খেলতে পারতো ভারত। টম ল্যাথামের দলের কাছে বাজেভাবে হারের পর সেটা আর হচ্ছে না। বরং সিরিজের ফলাফল পক্ষে না আসলে, দল থেকে বাদ পড়ার খড়গ আসার শঙ্কা নিয়ে ডাউন আন্ডারে যাবে রোহিত শর্মার দল। তবে, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নসশিপ ফাইনাল খেলার সুযোগ যে একেবারেই হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া, তা বলা যাবে না।
ডব্লিউটিসি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে মাইটি অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ ও অ্যাওয়েতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে ২টি ম্যাচ বাকি অজিদের। এই ৭ ম্যাচের ৫ টেস্ট জিতলেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে খেলবে অজিরা।
পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা ভারতের সামনেও আছে ফাইনালে ওঠার সু্যোগ। তাদের শুধু একটা সিরিজই বাকি আছে। অজিদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজের চারটি ম্যাচ জিততেই হবে মেন ইন ব্লুদের। একটিতে ড্র করলেও ফাইনালে খেলতে পারবে তারা। তবে, কিউইদের বিপক্ষে বাজেভাবে হারের পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের ঘরের মাঠে ৪-০ ব্যবধানে জয় পাওয়াটা কঠিন হবে টিম ইন্ডিয়ার জন্য।
তিনে থাকা শ্রীলঙ্কার এই চক্রে বাকি আছে চারটি ম্যাচ। যেখানে দুটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ও দুটি ম্যাচ হোমে খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ডব্লিউটিসির ফাইনালে উঠতে হলে সবকটিতে জয়ভিন্ন কোনো উপায় নেই লঙ্কানদের সামনে। তবে তিনটি জয় পেলেও, সুযোগ থাকবে তাদের। তবে সে ক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলাফলের ওপর।
টেবিলের চারে আছে নিউজিল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে দারুণ জয়ের পর তাদের সামনে এখন ইংল্যান্ড বাধা। ঘরের মাঠে ইংলিশদের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জিততে পারলেই ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করতে পারবে কিউইরা।
আর পাঁচ নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা পরবর্তী সিরিজ খেলবে নিজেদের চেয়ে পিছিয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। লঙ্কান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ২টি করে হোমে ম্যাচ খেলবে প্রোটিয়ারা। এই চার ম্যাচ জিততে পারলে ফাইনালের টিকিট কাটতে পারবে দক্ষিণ আফ্রিকা।