চার বছর আঁখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর কুষ্টিয়া সুগার মিলে পুনরায় আঁখ মাড়াই কার্যক্রম চালুর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) অধীন ৬টি (পঞ্চগড়, রংপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, সেতাবগঞ্জ ও শ্যামপুর) চিনিকলের আখ মাড়াইয়ের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মাড়াই স্থগিতকৃত চিনিকল সমূহ পুনরায় চালু করার জন্য ও চিনিকল লাভজনকভাবে চালানোর নিমিত্ত সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা প্রণয়নের লক্ষে গঠিত টাক্সফোর্সের সুপারিশ ও মতামতের আলোকে ০৩/১২/২০২৪ তারিখে স্মারক মূলে পর্যাপ্ত আখ প্রাপ্তির সাপেক্ষে ১ম পর্যায়ে শ্যামপুর, সেতাবগঞ্জ চিনিকল, ২য় পর্যায়ে পঞ্চগড় ও পাবনা চিনিকল এবং ৩য় পর্যায়ে কুষ্টিয়া ও রংপুর চিনিকলের মাড়াই কার্যক্রম পুনরায় চালুকরণের লক্ষ্যে উপর্যুক্ত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো।
মিল সূত্রে জানা যায়, ২১৬ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া সুগার মিল। ১৯৬১ সালে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়া শহর থেকে জগতি এলাকায় কুষ্টিয়া সুগার মিল এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম থেকে কারখানায় চিনি উৎপাদন শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে চিনিকলটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু আকর্ষিক ভাবে ২০২০ সালে মিলটির আঁখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া সুগার মিল আধুনিকায়ন ও রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু মনি সাকলায়েন এলিন বলেন, কুষ্টিয়াসহ বন্ধ ৬ চিনিকলের আঁখ মাড়াইয়ের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। এবং পর্যাপ্ত আঁখ প্রাপ্তির সাপেক্ষে তৃতীয় ধাপে কুষ্টিয়া সুগার মিল চালুর কথা বলা হয়েছে। আমরা সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তবে কুষ্টিয়া সুগার মিল তৃতীয় ধাপে নয় প্রথম ধাপেই যেন চালু করা যায় সেই ব্যাপারে ‘কুষ্টিয়া সুগার মিল আধুনিকায়ন ও রক্ষা’ কমিটি কাজ করে যাবে।
কুষ্টিয়া সুগার মিলের আঁখ মারায় কার্যক্রম চালুর প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত আমি অফিসিয়ালভাবে কিছু জানতে পারিনি। তবে মন্ত্রণালয় থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে একটি চিঠি পাঠিয়েছে যেখানে পূর্ববতী আঁখ মাড়াই কার্যক্রম স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত আঁখ প্রাপ্তির সাপেক্ষে ১ম পর্যায়ে শ্যামপুর, সেতাবগঞ্জ চিনিকল, ২য় পর্যায়ে পঞ্চগড় ও পাবনা চিনিকল এবং ৩য় পর্যায়ে কুষ্টিয়া ও রংপুর চিনিকলের মাড়াই কার্যক্রম পুনরায় চালুকরণের লক্ষ্যে উপযুক্ত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের কথাটা চিঠিতে রয়েছে।