ব্রেকিং নিউজ :
বাগেরহাটে স্বেচ্ছায় ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে দিলো জামায়াত
বাগেরহাটে স্বেচ্ছায় ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে দিলো জামায়াত।
বাগেরহাটে ভাঙন কবলিত এলাকায় সেচ্ছায় ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে বাগেরহাট সদর উপজেলার ভৈরব নদীর পাশে বিষ্ণুপুর এলাকার গ্রামবাসীর সহযোগিতায় জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক নেতাকর্মীরা বাধ নির্মাণ কাজ শুরু করে। দুপুর গড়িয়ে দৃশ্যমান হয়ে উঠে বাঁধের কাজ। এতেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
বাগেরহাটে জোয়ারের পানি বেড়ে প্রায়ই বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে সম্পদের ক্ষতি হয়। ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ সংস্কারও করা হয়। তবে বাগেরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের লাগোয়া ভৈরব নদীর বাঁধের একটি অংশ ভেঙে ও জোয়ারে প্লাবিত হয়ে ২০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লোনাপানিতে নষ্ট হয়েছে ফসলের খেত, কাঁচাঘর, মাটির পথ। প্রায় ১৬ বছর ধরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও মেলেনি কোন প্রতিকার। ওই পরিবারগুলোর দুর্ভোগ লাগবে এগিয়ে এসেছে বাগেরহাট সদর উপজেলা জামায়াত।
বিষ্ণুপুর গ্রামের বৃদ্ধ শিকদার আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, নদী ভাঙনে গ্রামরক্ষা বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে বহু বছর আগে। এরপর প্রতিবছর বর্ষার মৌসুম জুড়ে জোয়ার-ভাটার পানির উপর নির্ভর করে চলতে হয় আমাদের। লোনা পানিতে বন্ধ হয়ে গেছে পানের বরজ, মাছ চাষ, ফসল-ফলাদি। আমাদের দুর্ভোগ যেন দেখার কেউ নেই।
শেখ জিন্নাত হক বলেন, প্রায় দুই কিলোমিটার বাঁধ না থাকায় সামাজিক ও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পুরো এলাকাবাসি। কেউ অসুস্থ হলেও পায় হেটেও নিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। কেউ মারা গেলে জানাজায় অংশ নিতে আসতে পারে না। অনেক সময় মেহমান আসে না বেড়াতে। আমাদের দুর্ভোগের সীমা নেই। যদিও জামায়াত ইসলামের উদ্যোগে বাঁধ দিয়েছে এতে আমরা খুশি। তবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের দাবি জানাচ্ছি।
জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ বাগেরহাট সদর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা ফেরদৌস আলী বলেন, যাত্রাপুর ইউনিয়নের জামায়াতের নায়েবে আমীর হাফেজ আব্দুর রহমানের বাড়ি বিষ্ণুপুর গ্রামে। গত ২৬ মে মারা যাওয়ার পর রাস্তাঘাট না থাকায় তার জানাজায় অংশ নিতে পারেনি। তারপর থেকে আমরা উদ্যোগ নেই বাঁধ নির্মাণের। বর্তমানে শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া, বিষ্ণুপুর, ষাটগম্বুজ, বারুইপাড়া ও যাত্রাপুর ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী বাধ নির্মাণ কাজে অংশ নেয়। স্বেচ্ছাশ্রমে আমরা এই এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করে দেয়ায় ফসলি জমি ও জলোচ্ছ্বাসের ঘরবাড়ি প্লাবিতসহ নানা ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে।