দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে চেয়েও পারেননি সাকিব। এরপর বাংলাদেশ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেললেও সেসময় জাতীয় দলের বিবেচনায় ছিলেন না দেশসেরা এ ক্রিকেটার। বিপিএলেও দল পেয়ে খেলতে আসতে পারেননি। এক কথায়- সাকিবকে যেন ভুলতেই বসেছে দেশের ক্রিকেট। এমন সময় হঠাৎ তাকে দলে ফেরানোর কথা বললেন বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ।
আগামী মাস থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। মর্যাদার এই আসরে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিবকে পেতে চাইছে বিসিবি। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘প্রথম বিষয় হলো– সাকিবের তো এখনও অবসর হয়নি, তেমন কিছু হয়নি তার। যদি সাকিব অবসর নিয়ে ফেলতো তাহলে তো বলতাম যে সে আর নাই। ওর যা ইস্যুগুলো আছে সেগুলো নিয়ে সে মাঝে মাঝে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে, ওইটা (রাজনৈতিক জটিলতার বিষয়ে) কি করা যায়। ওই ব্যাপারগুলোয় আমার সাহায্য করার কোনো ব্যাপার নেই। এটা আগেও বলেছি, এখনও বলছি। এটা শুধুমাত্র সরকারী পর্যায় থেকে যদি নিদের্শনা আসে, ওর যে সমস্যাগুলো আছে, ওগুলো যদি ঠিক করতে পারে, তাহলে আমার মনে হয় একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। পরবর্তীতে তার ফিটনেস–মানসিক শক্তি দেখে সিলেকশন কমিটি আছে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে আমি আগে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় কথা বলেছিলাম। আমাদের যে ক্রীড়া উপদেষ্টা আছেন, তিনি বলেছিলেন সাকিবের ব্যাপারটা সে আসবে, খেলবে- এটা সরকার দেখবে। তারপর নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে শেষ মুহূর্তে সেটা আর সম্ভব হয়নি। চাহিদা থাকলেই তো হয় না, কারণ এটা একটা জাতীয় ইস্যু। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেশের বাইরে, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।’
বিপিএলের মধ্যেই সাকিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে বিসিবি বস বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে আমার নিয়মিতই কথা হতো। গত কিছুদিনে কথা হয়নি। সে অবশ্যই (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) খেলতে চায়। এই বিপিএলের মধ্যেই ওকে নিয়ে কিছু একটা করতে হবে। সাকিবকে নিয়ে আরেকবার চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’
বাংলাদেশের হয়ে সাকিব সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলেন ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। ওই সিরিজের মাঝপথেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তারকা ক্রিকেটার। জানিয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটেও অবসর নিতে চান ঘরের মাটিতে খেলে। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে নীরব ভূমিকা পালন করায় তার দেশে ফেরার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা যায়। তাই দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দলে থেকেও শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরতে পারেননি সাকিব।
টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনেকটাই চূড়ান্ত করে ফেললেও ওয়ানডেতে খেলা চালিয়ে যেতে চান সাকিব। সেই হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার খেলার সম্ভাবনাও রয়েছে বেশ।