ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo খাসিয়ামারা নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ, আতঙ্কে শত শত পরিবার Logo সুশান্তের পর এবার কার্তিক আরিয়ানকে ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, সরব অমল মালিক Logo জাহাঙ্গীর কবির পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক Logo নিউইয়র্ক নির্বাচনে জয় পেয়ে ভারতে বিতর্কের কেন্দ্রে জোহরান মামদানি Logo দুবাই গোল্ডেন ভিসায় বড় ছাড়, বাংলাদেশিদের জন্য নতুন সুযোগ Logo বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৭ জুলাই) Logo নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশের সঠিক পথে অগ্রযাত্রা সম্ভব: মির্জা ফখরুল Logo যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহু Logo শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনে দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ Logo ৭ জুলাই: দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেগবান করে ‘বাংলা ব্লকেড’

ট্রুডোর পদত্যাগ/ কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

ট্রুডোর পদত্যাগ/ কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা।

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে এবং তার দল ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। সোমবার (৬ জানুয়ারি) এ ঘোষণা দেন তিনি। ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণার পর দলের নতুন প্রধান হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ।

দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক মাস ধরে চলা ‘অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ’ এবং তাকে অপসারণের আহ্বান জানানোর পর সোমবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। তবে পদত্যাগ করা সত্ত্বেও নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি পদে থাকবেন বলে জানান।

 

ট্রুডো এও নিশ্চিত করেছেন যে কানাডার সংসদ ২৪ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। এর মধ্যে দলের নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই নেতা কানাডার আগামী সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টির হয়ে লড়বেন।
 
কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দসহ বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। 
 
অনিতা আনন্দ:
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৫৭ বছর বয়সী অনিতা আনন্দ অক্সফোর্ড থেকে লেখাপড়া করেছেন। তিনি ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষা, পাবলিক সার্ভিসেস এবং প্রকিউরমেন্ট মন্ত্রী এবং ট্রেজারি বোর্ডের সভাপতিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আনন্দ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনে কানাডার সহায়তার সময় তার নেতৃত্বের জন্য পরিচিত। তামিল বাবা এবং পাঞ্জাবি মায়ের ঘরে জন্ম তার। তিনি ২০১৯ সালে কানাডার এমপি নির্বাচিত হন এবং দ্রুত ট্রুডোর প্রশাসনে জায়গা করে নেন।

মেলানি জোলি: ট্রুডোর একজন বিশ্বস্ত মিত্র মেলানি জোলি, বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি ২০২১ সাল থেকে ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন। ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষ এবং কানাডিয়ান নাগরিকদের সরিয়ে নেয়াসহ আন্তর্জাতিক সংকটের সময় শক্তিশালী নেতৃত্ব দেখিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সী মেলানি। অক্সফোর্ডের স্নাতক জোলি এক সময় জানান যে ট্রুডো ব্যক্তিগতভাবে তাকে রাজনীতিতে আসতে উৎসাহিত করেছিলেন।
 
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড: ট্রুডোর একজন প্রভাবশালী সমালোচক হলেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। একজন সাবেক সাংবাদিক এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী ফ্রিল্যান্ড ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে হঠাৎ তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এতে কানাডার অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ৫৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ অর্থমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ট্রুডোর বর্ধিত ব্যয় পরিকল্পনার সমালোচনা-সংক্রান্ত কারণে তিনি পদত্যাগ করে থাকতে পারেন বলে ধারণা।
 
মার্ক কার্নি: আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন একজন অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নি। ৫৯  বছর বয়সী হার্ভার্ড স্নাতক কার্নি ব্যাঙ্ক অফ কানাডা এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর। কানাডার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। যদিও তিনি কখনও সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হননি। তবে কার্নি বিভিন্ন সময় ট্রুডোকে অর্থনৈতিক বিষয় এবং জলবায়ু নীতির বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
 
ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেন: ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেন বর্তমানে উদ্ভাবন, বিজ্ঞান এবং শিল্প মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৫ সালে রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতির আগে, শ্যাম্পেন একটি বহুজাতিক অটোমেশন কোম্পানি এবিবি গ্রুপে সিনিয়র ভূমিকা পালন করেছিলেন।
 
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৩৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫
৫২ বার পড়া হয়েছে

ট্রুডোর পদত্যাগ/ কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা

আপডেট সময় ১০:৩৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

ট্রুডোর পদত্যাগ/ কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা।

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে এবং তার দল ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। সোমবার (৬ জানুয়ারি) এ ঘোষণা দেন তিনি। ট্রুডোর পদত্যাগের ঘোষণার পর দলের নতুন প্রধান হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দ।

দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক মাস ধরে চলা ‘অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ’ এবং তাকে অপসারণের আহ্বান জানানোর পর সোমবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। তবে পদত্যাগ করা সত্ত্বেও নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি পদে থাকবেন বলে জানান।

 

ট্রুডো এও নিশ্চিত করেছেন যে কানাডার সংসদ ২৪ মার্চ, ২০২৫ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। এর মধ্যে দলের নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই নেতা কানাডার আগামী সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল পার্টির হয়ে লড়বেন।
 
কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দসহ বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। 
 
অনিতা আনন্দ:
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৫৭ বছর বয়সী অনিতা আনন্দ অক্সফোর্ড থেকে লেখাপড়া করেছেন। তিনি ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় প্রতিরক্ষা, পাবলিক সার্ভিসেস এবং প্রকিউরমেন্ট মন্ত্রী এবং ট্রেজারি বোর্ডের সভাপতিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আনন্দ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনে কানাডার সহায়তার সময় তার নেতৃত্বের জন্য পরিচিত। তামিল বাবা এবং পাঞ্জাবি মায়ের ঘরে জন্ম তার। তিনি ২০১৯ সালে কানাডার এমপি নির্বাচিত হন এবং দ্রুত ট্রুডোর প্রশাসনে জায়গা করে নেন।

মেলানি জোলি: ট্রুডোর একজন বিশ্বস্ত মিত্র মেলানি জোলি, বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি ২০২১ সাল থেকে ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন। ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষ এবং কানাডিয়ান নাগরিকদের সরিয়ে নেয়াসহ আন্তর্জাতিক সংকটের সময় শক্তিশালী নেতৃত্ব দেখিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সী মেলানি। অক্সফোর্ডের স্নাতক জোলি এক সময় জানান যে ট্রুডো ব্যক্তিগতভাবে তাকে রাজনীতিতে আসতে উৎসাহিত করেছিলেন।
 
ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড: ট্রুডোর একজন প্রভাবশালী সমালোচক হলেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। একজন সাবেক সাংবাদিক এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী ফ্রিল্যান্ড ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে হঠাৎ তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এতে কানাডার অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ৫৬ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ অর্থমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ট্রুডোর বর্ধিত ব্যয় পরিকল্পনার সমালোচনা-সংক্রান্ত কারণে তিনি পদত্যাগ করে থাকতে পারেন বলে ধারণা।
 
মার্ক কার্নি: আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন একজন অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নি। ৫৯  বছর বয়সী হার্ভার্ড স্নাতক কার্নি ব্যাঙ্ক অফ কানাডা এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের সাবেক গভর্নর। কানাডার সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। যদিও তিনি কখনও সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হননি। তবে কার্নি বিভিন্ন সময় ট্রুডোকে অর্থনৈতিক বিষয় এবং জলবায়ু নীতির বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
 
ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেন: ফ্রাঁসোয়া-ফিলিপ শ্যাম্পেন বর্তমানে উদ্ভাবন, বিজ্ঞান এবং শিল্প মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৫ সালে রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতির আগে, শ্যাম্পেন একটি বহুজাতিক অটোমেশন কোম্পানি এবিবি গ্রুপে সিনিয়র ভূমিকা পালন করেছিলেন।
 
সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস