ঢাকা ০২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানা তৃতীয় বছরের মতো কমলো চীনের জনসংখ্যা

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

টানা তৃতীয় বছরের মতো কমলো চীনের জনসংখ্যা।

২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো কমেছে চীনের জনসংখ্যা। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, জন্মহারের চেয়ে মৃত্যুর হার বেশি থাকায় গত ১২ মাসে দেশটির জনসংখ্যা ১৩ লাখ ৯০ হাজার কমেছে। এতে বর্তমান জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪০ কোটি ৮২ লাখ। খবর, রয়টার্স।

গত শতাব্দীর শেষ দুই দশক থেকেই ক্রমান্বয়ে কমছে দেশটির জনসংখ্যা। তবে ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো মৃত্যুর সংখ্যা জন্মকেও ছাড়িয়ে যায়।

সবশেষ বছর এক কোটি ৯৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে চীনে। এর আগের বছর সংখ্যাটি ছিল এক কোটি ১১ লাখ। এতে মৃত্যুর হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপরীতে গত বছর চীন ৯৫ লাখ ৪০ হাজার নবজাতকের জন্ম তালিকাভুক্ত করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় পাঁচ লাখ ২০ হাজার বেশি। তারপরও জন্মের এই সংখ্যা মৃত্যুকে ছাড়াতে না পারায় জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকছে।

উল্লেখ্য, মৃত্যুহার বেশি থাকার তথ্য বেশ উদ্বেগজনক। কারণ এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির শ্রমিক এবং ভোক্তার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। বৃদ্ধদের সেবা ও অবসরকালীন ভাতার বাড়তে থাকা খরচ অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৪:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
৫ বার পড়া হয়েছে

টানা তৃতীয় বছরের মতো কমলো চীনের জনসংখ্যা

আপডেট সময় ১১:০৪:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

টানা তৃতীয় বছরের মতো কমলো চীনের জনসংখ্যা।

২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো কমেছে চীনের জনসংখ্যা। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, জন্মহারের চেয়ে মৃত্যুর হার বেশি থাকায় গত ১২ মাসে দেশটির জনসংখ্যা ১৩ লাখ ৯০ হাজার কমেছে। এতে বর্তমান জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪০ কোটি ৮২ লাখ। খবর, রয়টার্স।

গত শতাব্দীর শেষ দুই দশক থেকেই ক্রমান্বয়ে কমছে দেশটির জনসংখ্যা। তবে ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো মৃত্যুর সংখ্যা জন্মকেও ছাড়িয়ে যায়।

সবশেষ বছর এক কোটি ৯৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে চীনে। এর আগের বছর সংখ্যাটি ছিল এক কোটি ১১ লাখ। এতে মৃত্যুর হার আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপরীতে গত বছর চীন ৯৫ লাখ ৪০ হাজার নবজাতকের জন্ম তালিকাভুক্ত করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় পাঁচ লাখ ২০ হাজার বেশি। তারপরও জন্মের এই সংখ্যা মৃত্যুকে ছাড়াতে না পারায় জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা অব্যাহত থাকছে।

উল্লেখ্য, মৃত্যুহার বেশি থাকার তথ্য বেশ উদ্বেগজনক। কারণ এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির শ্রমিক এবং ভোক্তার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। বৃদ্ধদের সেবা ও অবসরকালীন ভাতার বাড়তে থাকা খরচ অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে।