ঢাকা ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফল-মিষ্টি নিয়ে চরমোনাই পীরের বাড়িতে গেলেন জামায়াত আমির

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

ফল-মিষ্টি নিয়ে চরমোনাই পীরের বাড়িতে গেলেন জামায়াত আমির।

ফল আর মিষ্টি নিয়ে চরমোনাই পীরের বাড়িতে হাজির হয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফেরার সময় জামায়াত প্রধানকে উপহার দেয়া হয় কাশ্মীরী শাল, কুরআনসহ নানা সামগ্রী। রাজনীতির মাঠে পরস্পর বিরোধী অবস্থান দেখা গেলেও এভাবেই এক হয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মানুষের কল্যাণে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হন তারা।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বরিশালে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের মাদ্রাসা সফর করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে বৈঠক করেন পীর সাহেব চরমোনাই ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঙ্গে। দুজন দুজনের সঙ্গে করমর্দন করে কুশলাদি বিনিময় করেন। পরে দুপুরে মধ্যহ্নভোজে অংশ নেন তারা।


এর আগে দেশের অন্যতম প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুই আমির সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় চরমোনাই পীর বলেন, জামায়াতের কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে দলটির আমির তার মাদ্রাসা পরিদর্শন করায় আমি খুশি হয়েছি।

 
জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামের পক্ষে একবাক্সে জনগণের ভোট পড়বে। ইসলামপন্থী সবার একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে একযোগে কাজ করার। এটি কাজে লাগাতে না পারলে মানুষেরই অকল্যাণ হবে।
 
এ সময় ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামীর মাঝে দূরত্ব আছে কি না-এমন প্রশ্নকে আমলে না নিয়ে বলেন, চিন্তার ব্যবধান থাকতেই পারে। তবে উদ্দেশ্য আমাদের এক। তা হচ্ছে মানুষের কল্যাণে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।

পাশাপাশি চেয়ারে বসে এ সময় নানা প্রশ্নের উত্তর দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের মর্যাদা নেই। কারণ দুর্নীতি আর দুঃশাসন। তবে আল্লাহর বিধান মেনে চললে সব হবে। এজন্য একযোগে সবাইকে কাজ করতে হবে।

ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা পেলে অমুসলিমদের কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে মদিনার বিধানে সবার অধিকার রক্ষা হয় বলে উল্লেখ করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, এখানেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ নয়, বরং এটি শুরু। আল্লাহ যেন তৌফিক দেন সম্পর্ক বজায় রাখার। পরস্পর ভালোবাসার  বিনিমিয়ে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। দেশের জনগণ-ই চাইছে ইসলামী দলগুলো একযোগে কাজ করুক। আমরা সেদিকেই যাচ্ছি।
 
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সংস্থার প্রয়োজন তা আগে হোক, তারপর ভোট। দুই নেতার বৈঠকে দলগুলোর অন্যান্য শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৯:৫২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
১১ বার পড়া হয়েছে

ফল-মিষ্টি নিয়ে চরমোনাই পীরের বাড়িতে গেলেন জামায়াত আমির

আপডেট সময় ০৯:৫২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

ফল-মিষ্টি নিয়ে চরমোনাই পীরের বাড়িতে গেলেন জামায়াত আমির।

ফল আর মিষ্টি নিয়ে চরমোনাই পীরের বাড়িতে হাজির হয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফেরার সময় জামায়াত প্রধানকে উপহার দেয়া হয় কাশ্মীরী শাল, কুরআনসহ নানা সামগ্রী। রাজনীতির মাঠে পরস্পর বিরোধী অবস্থান দেখা গেলেও এভাবেই এক হয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মানুষের কল্যাণে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হন তারা।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বরিশালে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের মাদ্রাসা সফর করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে বৈঠক করেন পীর সাহেব চরমোনাই ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঙ্গে। দুজন দুজনের সঙ্গে করমর্দন করে কুশলাদি বিনিময় করেন। পরে দুপুরে মধ্যহ্নভোজে অংশ নেন তারা।


এর আগে দেশের অন্যতম প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুই আমির সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় চরমোনাই পীর বলেন, জামায়াতের কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে দলটির আমির তার মাদ্রাসা পরিদর্শন করায় আমি খুশি হয়েছি।

 
জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে চরমোনাই পীর বলেন, ইসলামের পক্ষে একবাক্সে জনগণের ভোট পড়বে। ইসলামপন্থী সবার একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে একযোগে কাজ করার। এটি কাজে লাগাতে না পারলে মানুষেরই অকল্যাণ হবে।
 
এ সময় ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামীর মাঝে দূরত্ব আছে কি না-এমন প্রশ্নকে আমলে না নিয়ে বলেন, চিন্তার ব্যবধান থাকতেই পারে। তবে উদ্দেশ্য আমাদের এক। তা হচ্ছে মানুষের কল্যাণে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।

পাশাপাশি চেয়ারে বসে এ সময় নানা প্রশ্নের উত্তর দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের মর্যাদা নেই। কারণ দুর্নীতি আর দুঃশাসন। তবে আল্লাহর বিধান মেনে চললে সব হবে। এজন্য একযোগে সবাইকে কাজ করতে হবে।

ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা পেলে অমুসলিমদের কোনো সমস্যা হবে না জানিয়ে মদিনার বিধানে সবার অধিকার রক্ষা হয় বলে উল্লেখ করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াত আমির বলেন, এখানেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ নয়, বরং এটি শুরু। আল্লাহ যেন তৌফিক দেন সম্পর্ক বজায় রাখার। পরস্পর ভালোবাসার  বিনিমিয়ে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। দেশের জনগণ-ই চাইছে ইসলামী দলগুলো একযোগে কাজ করুক। আমরা সেদিকেই যাচ্ছি।
 
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সংস্থার প্রয়োজন তা আগে হোক, তারপর ভোট। দুই নেতার বৈঠকে দলগুলোর অন্যান্য শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।