ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
Logo যুদ্ধে রাশিয়ায় সৈন্য পাঠানো নিশ্চিত করলো উত্তর কোরিয়া Logo ইরানের বন্দরে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ Logo শেষ মুহূর্তে বাসার আল আসাদকে বাঁচাতে বিমান পাঠিয়েছিল ইরান— দাবি নেতানিয়াহুর Logo বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের জন্য ভালো সমাধান’ Logo ভারতের বিকল্প সিলেট থেকে উড়াল দিলো কার্গো প্লেন Logo বিচ্ছেদের পর যে নায়িকা এখনও সিঙ্গেল Logo দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo এ. কে. ফজলুল হকের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলেন তারেক রহমান Logo কোনো সারার সঙ্গেই আমি প্রেম করছি না: শুভমান গিল Logo পরিবেশগত বিবেচনায় ১৭টি পাথর কোয়ারির ইজারা প্রদান স্থগিত

‘ভয়াবহ’ সেই রাতে কী ঘটেছিল, জানালেন সাইফ

নিজস্ব সংবাদ :

ছবি সংগৃহীত

‘ভয়াবহ’ সেই রাতে কী ঘটেছিল, জানালেন সাইফ।

 

নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতের শিকার বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান অবশেষে ‘ভয়াবহ’ সেই রাতের বর্ণনা দিয়েছেন। ভারতের বান্দ্রা থানায় পুলিশের কাছে নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) পুলিশের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন সাইফ আলি খান। পুলিশ তার বক্তব্য রেকর্ড করেন।

 

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সাইফ বলেন, ‘হামলার দিন ১১ তলার বেডরুমে আমি আর আমার স্ত্রী (বলিউড অভিনেত্রী) কারিনা কাপুর ঘুমিয়ে ছিলাম। ছোট ছেলে জেহর ও পরিচারিকা ইলিয়ামা ফিলিপসের চিৎকারে আমরা জেগে উঠি।’

সাইফ আরও বলেন, ‘আমার দুই ছেলে ও তাদের পরিচারিকা ১২তলায় থাকে। আমি ইলিয়ামার চিৎকার শুনে ১১তলা থেকে ১২তলায় ছুটে গিয়ে দেখি, অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি চলছে। তখন আমি ইলিয়ামাকে বাঁচাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে পেছন থেকে ধরে ফেলি। তখন সে আমার হাত থেকে বাঁচতে ছুরিকাঘাত করতে শুরু করে।’
 
বিভৎস সে রাতের কথা মনে করে সাইফ বলেন, মূলত ডাকাতির উদ্দেশ্যেই ১২তলায় বেয়ে উঠেছিল ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। কিন্তু ধরা পড়ায় ধারালো ছুরি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে শুরু করে।’
 
 
সাইফ বলেন, আমাকে রক্তাত অবস্থায় দেখে কারিনা ও দুই ছেলে ঘাবড়ে যায়। সে সময় হামলাকারীকে ধরে পাশের একটি রুমে বন্দিও করেছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়।’
 
 
সাইফের ওপর হামলা ঘটনার এখনও তদন্ত চলছে। তদন্তে উঁচু ভবনে থাকা তারকাদের নিরাপত্তার দুর্বলতার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
 
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ আলি খান। হামলাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ সাইফকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করেন।

হামলার পরপরই রক্তাক্ত সাইফকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানে সফল অস্ত্রোপচারসহ পাঁচদিনের চিকিৎসা শেষে গত ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফেরেন সাইফ। 
  

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৮:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
৪৩ বার পড়া হয়েছে

‘ভয়াবহ’ সেই রাতে কী ঘটেছিল, জানালেন সাইফ

আপডেট সময় ০৮:৪৯:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

‘ভয়াবহ’ সেই রাতে কী ঘটেছিল, জানালেন সাইফ।

 

নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতের শিকার বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান অবশেষে ‘ভয়াবহ’ সেই রাতের বর্ণনা দিয়েছেন। ভারতের বান্দ্রা থানায় পুলিশের কাছে নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) পুলিশের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন সাইফ আলি খান। পুলিশ তার বক্তব্য রেকর্ড করেন।

 

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সাইফ বলেন, ‘হামলার দিন ১১ তলার বেডরুমে আমি আর আমার স্ত্রী (বলিউড অভিনেত্রী) কারিনা কাপুর ঘুমিয়ে ছিলাম। ছোট ছেলে জেহর ও পরিচারিকা ইলিয়ামা ফিলিপসের চিৎকারে আমরা জেগে উঠি।’

সাইফ আরও বলেন, ‘আমার দুই ছেলে ও তাদের পরিচারিকা ১২তলায় থাকে। আমি ইলিয়ামার চিৎকার শুনে ১১তলা থেকে ১২তলায় ছুটে গিয়ে দেখি, অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি চলছে। তখন আমি ইলিয়ামাকে বাঁচাতে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে পেছন থেকে ধরে ফেলি। তখন সে আমার হাত থেকে বাঁচতে ছুরিকাঘাত করতে শুরু করে।’
 
বিভৎস সে রাতের কথা মনে করে সাইফ বলেন, মূলত ডাকাতির উদ্দেশ্যেই ১২তলায় বেয়ে উঠেছিল ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। কিন্তু ধরা পড়ায় ধারালো ছুরি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে শুরু করে।’
 
 
সাইফ বলেন, আমাকে রক্তাত অবস্থায় দেখে কারিনা ও দুই ছেলে ঘাবড়ে যায়। সে সময় হামলাকারীকে ধরে পাশের একটি রুমে বন্দিও করেছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে সে পালিয়ে যায়।’
 
 
সাইফের ওপর হামলা ঘটনার এখনও তদন্ত চলছে। তদন্তে উঁচু ভবনে থাকা তারকাদের নিরাপত্তার দুর্বলতার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
 
গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হন সাইফ আলি খান। হামলাকারী হিসেবে অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ সাইফকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করেন।

হামলার পরপরই রক্তাক্ত সাইফকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানে সফল অস্ত্রোপচারসহ পাঁচদিনের চিকিৎসা শেষে গত ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফেরেন সাইফ।